উপসংহার, ডিবিসি নিউজ টিভি ২২০০ ঘটিকা ০৪ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-04 22:00:00
জি এম কাদেরঃ
আমার ক্যারিয়ারে কখনো ভাবিনি আমি রাজনীতিতে আসবো দলের চেয়ারম্যান সেটা তো অনেক পরের কথা, রাজনীতি করবো এমন কোনো ধারণাই আমার মধ্যে ছিল না। রাজনীতির উত্থান পতনের জিনিস, রাজনীতিতে সবসময় উত্থান হবে বা সবসময় পতন হবে এমন কোন ব্যাপার না। যারা রাজনীতিতে টিকে থাকতে চায় তাদের মধ্যে ধৈর্য থাকতে হয়, ধৈর্য ধরে থাকলে কোন একটা সময় এসে এর ফল পাওয়া যায়। জাতীয় পার্টি সংরক্ষণশীলদের প্রতিনিধিত্ব করে, এর আগে বিএনপি চেষ্টা করত এবং বিএনপির অনুপুস্থিতিতে জাতীয় পার্টির উত্থান হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যপন্থি দলগুলো আদর্শের চেয়ে কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে এদের রাজনীতি চলে। ১৯৯১ এরপর থেকে আমরা বেশিরভাগ সময় আওয়ামী লীগের সাথে থেকে কাজ করেছি তার ফলে দেখা গেছে বেশিরভাগ সময় আমরা আওয়ামী লীগের সাথেই ছিলাম এবং অনেক নির্বাচন জোট বদ্ধ ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সখ্যতা এমন একটি ক্ষেত্রে পৌঁছেছে যেখানে অনেকেই মনে করত যে আমাদের রাজনীতি আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি এক এবং আমাদের আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য নেই। (২২:১৪:২০) সংসদীয় দলেরও উনি প্রধান, কাজেই ওনার বাইরে কোন এমপির কোন সিদ্ধান্ত নেই, তাহলে সংসদে কি সিদ্ধান্ত হবে সেটা ডিটারমেন্ট করছে সরকার কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্র হলে, দলীয় ফোরম হল, সরকারি দলীয় ফোরমের প্রধান একই জন সবখানে যখন প্রধান হন তখন হয় যে পাওয়ারের ব্যালেন্স করার জন্য যে সংসদীয় গণতন্ত্রের আসল উদ্দেশ্যটা হল যে সংসদ সরকারকে, নির্বাহী বিভাগকে ব্যালেন্স করবে। তারমানে কাজকর্মের জবাবদিহিতার নিশ্চিত করবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে যেগুলো করা হচ্ছে সেগুলো যেন জনগণের কথা হয়, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী হয় সেটা এনসিওর করবে। সেখানে যদি সরকার এককভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং পার্লামেন্ট যদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে আর সেই সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংসদীয় গণতন্ত্র বলা যায় না (২২:১৫:০৮)। (২২:২৯:২২) স্বাধীনতা তো অনেকদিন হয়ে গেছে ৯১ এর পর থেকে যেটা বলছি সেটা না, তার আগেও তো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচন সবসময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের দেশে যে কোন কারণেই হোক আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এরকমভাবে খুব বেশি করতে পারিনি (২২:২৯:৩৮)। রাজপথে আমরা ও বিএনপি সবাই আন্দোলন করি কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণভাবে করি আর তারা নিয়ম ভেঙে করে, তারা যদি গাড়ি পোড়ায় বা ভাঙ্গে তাহলে তো নিউজ হবেই। আমরা দেখেছি বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন ব্যতিত কোন সুফল পাওয়া যায়নি, যার জন্য এখন বাংলাদেশে হরতাল ও গাড়ি ভাঙা বন্ধ হয়ে গেছ এবং আস্তে আস্তে এটা বিএনপিও করছে না। এবার সংসদে ৯টি বিল এসেছিল এবং আমরা প্রতিটি বিলে জনগণের কথা বা তারা যেসব বলতে চেয়েছে সেইসব তুলে ধরেছি। অনেকেই ভেবেছিল দলের চেয়ারম্যান হুসেইন এরশাদের মৃত্যুর পরে দলের কি হবে কিন্তু তার মৃত্যুর পরে দল কোথাও থেমে থাকেনি বরং সাংগঠনিকভাবে আমাদের কর্মকান্ড অনেক বেশি বেগমান আমি মনে করি আগের তুলনায়। রোহিঙ্গাদের যদি দেশে ঢুকতে না দেয়া হত তাহলে হয়তো পেছন থেকে গুলি করা হত এবং ৮ থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে মারা যেতে হত কিন্তু এই মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে আসতে দিয়েছে।