গণতন্ত্র এখন বাংলাভিশন ২৩৩০ ঘটিকা ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-03 23:30:00
ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহঃ
আমরা গত কয়েকদিন যাবৎ দেখছি করোনা সংক্রমণের হার যেমন বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি মৃত্যুর মিছিল টা কিন্তু বেড়েই যাচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ছয় হাজারের উপরে মানুষ মারা গিয়েছে, সেখানে আমাদের অনেক ডাক্তার মারা গিয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন শীতের মধ্যে করোনা বাড়বে কিন্তু আমি যেটা মনে করি শীতের ঝুঁকি অতটা হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না এবং শীতে যতটা না বাড়বে তার চেয়ে বেশি বাড়বে জনগণ একটা খামখেয়ালি, অসচেতনতার এর জন্য জনগণের বিশাল অংশ, তারা কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। রাস্তাঘাটে গেলে দেখা যায় কেউ মাস্ক পড়ে না, যদিও কয়েকদিন যাবত অবস্থান কিছুটা উন্নতি হয়ে গেছে এবং মাস্ক যদি না পড়ে তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারবেন না। ভ্যাকসিন কবে আসবে, আসলে আসবে কিনা, কতদিনে আসবে আমরা কিন্তু শিওর না, ভ্যাকসিন আসুক বা না আসুক এবং ভ্যাকসিন যদি দেওয়া হয় আমাদেরকে একটি কাজ করে যেতে হবে, মাক্স অবশ্যই পড়তে হবে, শুধু মাক্স পড়লে ৮০% সংক্রমণ কমানো সম্ভব।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাঃ
আমাদের জনগণের মধ্যে একটি অসচেতনতা তৈরি হয়েছে, জনগণ মানছে না, জনগণ মাস্ক পড়ছে না, জনগণ শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখছে না এবং রাষ্ট্র যারা চালাচ্ছেন, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিনা সেটা সবার আগে দেখা দরকার। এত বড় একটা জনসাস্থ সমস্যা সেখানে জনযোগাযোগ ছিল কিনা, জনসম্পৃক্ত কোনো পরিকল্পনা জনগণের কাছে উপস্থাপন করা গেছে কিনা এবং সারা পৃথিবীতে লকডাউন একটা প্রকৃত পন্থা কিন্তু জনগণের কারণে বাংলাদেশের সুষ্ঠুভাবে লকডাউন পালন করা যায়নি। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনের আলোচনাটা অনেক দূর এগিয়েছে কিন্তু কানাডার জনসংখ্যা যত তার চেয়ে বেশি ডোজ বুকিং দিয়ে ফেলেছে এবং আমরা তিন কোটি ভ্যাকসিনের কথা শুনতে পেলাম, সেটা কিন্তু ২% থেকে ৩% প্রথমে আসবে কয়েক মাসের ব্যবধানে, তারমানে একসাথে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না।
ভ্যাকসিন আসলেও আমাদের কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে, জনগণকে কিভাবে সচেতন করা যায় এবং একটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে বাংলাদেশ আর কখনো লকডাউন হবে না, তাই সবাইকে মাস্ক পড়ে চলতে হবে, সেদিকে সরকার নজর দেওয়া দরকার।
নূর খানঃ
আমরা জানি ভ্যাকসিন পাওয়া না পাওয়া অনিশ্চিত একটি জায়গা, আর যদি ভ্যাকসিন পান তারপরেও ঝুঁকি থেকে যায় ৫% এবং ৫% লোক ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও যদি মুক্ত না থাকেন, তাহলে জুকি থেকেই যাচ্ছে সেই জায়গায় আমাদের জোর দিতে হবে স্বাস্থ্যবিধি বলতে যা বুঝায়। করোনার প্রথম ধাক্কা যখন এসেছে তখন কিন্তু পুরো পরিবার সহ ছড়ায়নি এবং এবার লক্ষ্য করছি পুরো পরিবারসহ করোনা আক্রান্ত হয়েছে, এটা কিন্তু ঝুঁকির মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে, সেজন্য আমাদের পুরো পরিবারকে সর্তক থাকতে হবে। সামাজিক যে বিধিব্যবস্থা, অফিস-আদালতের যে অবস্থা, গণপরিবহনের যে অবস্থা এবং আমাদের ভিতরে সবকিছুতে বুড়ি আংগুল প্রদর্শন করা যে ব্যাপারটা এটাতে মুক্ত থাকা খুব কঠিন। একটা পজিটিভ দিক আমি দেখছি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুরুতে ওনার বক্তব্য স্ট্রংলি আমি পাইনি কিন্তু পরবর্তীতে যে কথাগুলি উনি বলেছেন এবং বিশেষ করে এবারের ব্যাপারে উনি বার বার করে একটা জিনিস বলছেন, করোনা পরিস্থিতিকে আমরা কিভাবে মোকাবেলা করবো, আর এর পরবর্তী অর্থনীতি ব্যবস্থা কি দাঁড়াবে?
অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল আহসানঃ
আমার ধারণা পশ্চিমা বিশ্বে যেভাবে এ রোগটা কে মোকাবেলা করা হচ্ছে আমরা সেরকম না, আমাদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে এবং আমরা গার্মেন্টস গুলো খুলে দিয়েছি, আমরা যতই তর্কের খাতিরে কথা বলি তাদের তো বেঁচে থাকতে হবে, সেজন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কঠিন। আমাদের দেশের প্রয়োজন ছিল অ্যান্টিজেন, এন্টি বডি টেস্ট, এখন যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে ফলে এইযে বিলম্ব করার একটা অভ্যাস, সেটা কে করেছে, কেন করেছে, কিভাবে করেছে এটা গবেষকদের কাজ।
আমাদের বাংলাদেশের টিকা দানের ক্ষেত্রে বিশ্ব একটি রোল মডেল, ৭ টি সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিশেষ করে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন হিরো করা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এখানে যারা তৃণমূল কর্মী, যাদের পরিশ্রমে, যাদের মনোনিবেশের কারণে এবং নিরলস পরিশ্রমের কারণে আমরা এই জায়গাটি অর্জন করেছি, নিশ্চয়ই তার পুরস্কার আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতি হিসেবে আমরা পেয়েছি।