একাত্তর জার্নাল একাত্তর টিভি ২৩৪০ ঘটিকা ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-03 23:40:00
আরিফ জেবতিকঃ এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয় যে দুই বছর লাগবে একটা ময়না তদন্ত করতে। এটা না যে এটার পেছনে কোন ধরনের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কারণ পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টগুলো চলে এসেছে। ময়নাতদন্ত এমন কোন বিষয় না যে তিন বছর পড়ে থাকলে এটা আরও মজবুত হবে বা রিপোর্টের কোন অংশ ডেভেলপ করবে। একটা রিপোর্ট লিখতে এক বছর সময় লাগবে এটা বিশ্বাসযোগ্য বিষয় নয়। এটা মানুষের প্রতি এক ধরনের নেগলিজেন্স। এখানে অভিযুক্ত যিনি আছেন তিনি একজন চিকিৎসক। তার ভুলের মাধ্যমে হয়েছে বা যেভাবে হয় হয়েছে। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়াটা তো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার প্রয়োজন আছে। আমি মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ, তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে বিষয়টা সামনের দিকে এগিয়েছে। মূর্তি হচ্ছে সেটাই যেটাকে পূজা করা হয় আর ভাস্কর্য হচ্ছে শিল্প। যারা ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে তারা অবুঝ।
আল মাহমুদ ফায়জুল কবীরঃ রওশন আরা এর ডেড বডি ময়নাতদন্ত হওয়ার পর ওই বছরেই এক মাস, প্রায় দুই মাসেই আরো ২৯৮ টি ডেড বডি ময়নাতদন্ত হয়। এদিকে রওশন আরা ২৯৮ টি লাশের আগে হওয়া সত্ত্বেও তার পোস্টমর্টেম রিপোর্টটি যায় ০৭.১১.২০২০ সালে। অর্থাৎ প্রায় দুই বছর চার মাস। ডাক্তার সাহেব আমাদেরকে বলেছেন যে কেমিক্যাল টেস্টের জন্য দেরি হয়েছে। কেমিক্যাল টেস্টটা আসে ২২.০৮.২০১৯ সালে। ২২.০৮.২০১৯ সালে আসার পর উনি ০৭.১১.২০২০ সালের স্মারকে এই পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা ফাইনাল ওপিনিয়ন ব্যক্ত করেন। যে তিনজন ডাক্তার ছিলেন তার মধ্যে একজন ডাক্তার ছিলেন কবীর সোহেল। উনারা তিনজনই এখানে দেখা যাচ্ছে ২০.১১.২০১৯ তারিখ যে স্বাক্ষর করেছেন, কিন্তু ২০.১১.২০১৯ তারিখে ডা. কবীর সোহেল ঢাকা মেডিকেল কলেজেই ছিলেন না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে ব্যাকডেট দিয়ে স্বাক্ষরগুলো করা হয়েছে।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীঃ এটা আমাদের কাছে একেবারেই পরিষ্কার যে মামুনুল, বাবুনগরী যেটা করছে আজকে যে ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এরা কারা? এরা তো সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, জামাত, শিবির, আলবদর, রাজাকারদের উত্তরসূরী। এরা ১৯৭১ সালে আমাদের স্বজনদেরকে হত্যা করেছে। এরা ৪৯ বছর পরেও একই কাজ করছে, একই অপকীর্তি করছে, একইভাবে দেশটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে দাঁড়িয়েছে, এই দেশ বিশ্বের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য এবং উন্নয়নশীল দেশ হতে যাচ্ছে। তারা দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শাহরিয়ার কবিরঃ প্রকাশ্যে জনসভা করে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, সংবিধানের বিরুদ্ধে, জাতির পিতার বিরুদ্ধে তারা বিসর্জার করল তাদেরকে কেন গ্রেফতার করা হলো না? এটাতো আমাদের প্রশ্ন। ২০১৩ সালে তখন যারা তান্ডব করেছিল এই বাবুনগরী, মামুনুল হক এদের সবাইকে তো গ্রেফতার করা হয়েছিল, সবার বিরুদ্ধে মামলা আছে। তো সে সন্ত্রাসের মামলাগুলো কোথায় গেল? সরকার যখন হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা করতে গেছে তখনই আমরা বলেছিলাম দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষবেন, সেই সাপ যখনই সুযোগ পাবে তখনই আপনাকে দংশন করবে এবং তারা এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পড়েছে। আসলে ভাস্কর্যটা তাদের মূল ইস্যু নয়। যেখানে শরীয়ত আছে, ইসলামী অনুশাসন আছে এবং ইসলামিক সব দেশগুলোতেই ভাস্কর্য আছে। এদের কথা হচ্ছে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে হবে, জিয়াউর রহমানের পাকিস্তান বানাতে হবে।
|
---|