সম্পাদকীয় সময় ২২০০ ঘটিকা ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-03 22:00:00
এম এ মান্নানঃ
নারী-পুরুষের বৈষম্য সারা পৃথিবীজুড়েই আছে, এটা শুধু বাংলাদেশে নয়। এই সরকার অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি নারীদেরকে সাহায্য দিচ্ছেন এবং তাদের কাজের স্বীকৃতিও দিচ্ছেন। আবার তিনি একটি আইনও করেছেন যে পাসপোর্টে বাবার নামের সাথে সাথে মায়ের নামও লিখতে হবে। ফলে কি দেখা যাচ্ছে? নারীদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে ও সম্মানও দেওয়া হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে উপজেলা পর্যায়ে তিনটি করে মহিলা আসন নির্ধারণ করেছেন এমনকি সকল ক্ষেত্রেই তিনি নারীদেরকে সুযোগ দিয়েছেন।
ড. আবুল হোসেনঃ
আমাদের মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে মহিলাদের বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদেরকে সম্মানের স্থানে রাখা। আগে আমাদের নারীদেরকে সম্মান করা হতো না কিন্তু এখন সব জায়গায় মেয়েদেরকে অনেক সম্মান করা হয়। আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা হচ্ছে যে কাজের আর্থিক মূল্যায়ন করে থাকে অর্থাৎ যে কাজ করলে আর্থিক মূল্য পাওয়া যাবে সেটাকেই আমরা কাজ বলি কিন্তু যে কাজ করলে কোন অর্থ পাওয়া যায় না সেই কাজকে আমরা মূল্যায়ন করিনা, এটা কিন্তু ঠিক নয়। একজন মহিলা সারাদিন অনেক কাজ করে কিন্তু এই কাজের মূল্যায়ন করা হয় না।
ফারাহ কবিরঃ
আমাদের সমাজে কিছু কিছু কাজের বিভাজন আছে। যে এটা নারীরা করবে আর এটা পুরুষেরা করবে, আমাদের দেশে পুরুষের এক ধরনের মানসিকতা হয়েছে যে পুরুষ হলে রান্না করা যাবেনা এমনকি তারা এক গ্লাস পানিও নিজ হাতে খাবে না, এটা নারীর কাজ নারীদেরই করতে হবে। পুরুষরা বলে যে আমরা বাহিরে কাজ করে টাকা আনি তাহলে আমরা ঘরের কাজ কেন করব। এটা যদি তারা বলে তাহলে বর্তমানে মেয়েরাও চাকরি করে এবং তারাও পুরুষদের মতো কথা বলতে পারে।