জনতন্ত্র গণতন্ত্র নিউজ ২৪ ২০০০ ঘটিকা ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-03 20:00:00
অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুবঃ
ভ্যাকসিনের কতগুলো বৈশিষ্ট হচ্ছে এটাকে মাইনাস ৮০ডিগ্রি ঠান্ডা রাখতে হবে, এই অবস্থায় ভ্যাকসিনকে সংরক্ষণ করা সম্ভব না কারণ আমাদের এই কোল্ড মেকানিজমটা নেই। সুতরাং এই ভ্যাকসিন এনে সংরক্ষণ করে জনগণকে দেওয়া, এটা আমরা পারবো না। অক্সফোর্ডে ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের অর্ডার দেয়া আছে, হয়তো সেই ভ্যাকসিনের আরও কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে তাই এটা এখনও বাজারে আসেনি। সরকার থেকে বলছে ফেব্রুয়ারিতে আমরা ভ্যাকসিন পাবো কিন্তু সিরাম ইন্সটিটিউন থেকে এখনও সেই রকম কোনো ক্লিয়ারেন্স পাইনি। সুতরাং আমরা এখনও বলতে পারি না কবে আসবে। সুতরাং, যে ভ্যাকসিনটা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হিসেবে সাইন্টিফিকভাবে প্রমাণিত হবে সেটাই আমাদের দেশে আনা উচিত।
ডা. এস এম আলমগীরঃ
ফাইজারের টিকা যেটা যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদন দিয়েছে সেটাও ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যাবে না। আমাদের যে ভ্যাকসিন ডিপ্লোমেট প্ল্যান সেটা করা হয়ে গেছে। ভ্যাকসিন দুইভাবে তৈরি হচ্ছে এবং তার মধ্যে এমআরএনএ পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন তৈরি হয় ও তা বিশ্বব্যাপি প্রায়োগ হয় তবে এই নতুন পদ্ধতি দ্বারা ইনফেকশন রোগের ক্ষেত্রে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আজকে ইন্টারপুল ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে সুতরাং এই জায়গায় আমাদের নিরাপদ অবস্থানে থাকতে হবে। পৃথিবীতে ৮২ শতাংশের মতো করোনা রোগীই এখন উপসর্গবিহীন সুতরাং যদি মাস্ক ব্যবহার করি তাহলে আমরা আক্রান্তের শঙ্কা থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ রক্ষা পেতে পারবো। আমাদের সামাজিক সচেতনতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার প্রবণতা গড়ে তুলতে হবে।
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীঃ
আমার মনে হয় এই ভ্যাকসিনের পেছনে দৌড়াদৌড়ির চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের টার্গেট করা উচিত ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানবো। শুধু ভ্যাকসিন তৈরি করা কোম্পানিগুলো বলছে কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ কিন্তু তারা কাগজপত্র জমা দিচ্ছে তাদের রেগুলেটরি অথরিটিকে সেটা কোনো সাইন্টিফিক জার্নালের মাধ্যমে জনসাধারণকে জানায়নি, এটা পুরোটাই ব্যবসায়ীক কৌশল। বৈজ্ঞানিকভাবে ভ্যাকসিনটি কতটুকু কার্যকর হবে সেটা পৃথিবীর কেউ জানেনা এমনকি যারা তৈরি করছে তারাও জানেনা। আমি মনে করি আমাদের দেশে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আনাটা ভুল হবে। আমাদের ভ্যাকসিন নিয়ে লাফালাফি করা মানে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা।