সংবাদ সম্প্রসারণ ডিবিসি নিউজ ২০০০ ঘটিকা ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-03 20:00:00
অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ নিজামুল হক ভূইয়াঃ
আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কালকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে মধুদার ভাস্কর্যটার একটি কান ভেঙে ফেলে। আমরা সেই বিষয়টা প্রক্টরকে অবহিত করার পর সে সাথে সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ভাস্কর্যটাকে মেরামত করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু করে অপরাজেয় বাংলা এবং অনেকগুলো ভাস্কর্য রয়েছে। সেগুলো আসলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয় সেগুলো কে রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগের থেকে অনেক সজাগ রয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে গত কয়েকদিন যাবত উগ্রবাদী গোষ্ঠী যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এমনকি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের ক্ষেত্রে যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমি মনে করি তাদের সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।
জহিরুল আলমঃ
আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি এবং আমরা যে উদ্দেশ্যে দেশটাকে স্বাধীন করেছি সেই উদ্দেশ্যের আজ বিচ্যুতি ঘটেছে। বর্তমান যে রাজনীতি সেই রাজনীতি হলো আমাদের মূল চালিকাশক্তি। সেই রাজনীতিকে যদি আমরা সঠিক পথে পরিচালনা করি তাহলে এরকম পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার কথা না। এমনকি আমরা যে সংবিধান তৈরি করেছি এবং সেই সংবিধান অনুযায়ী যদি রাষ্ট্রপরিচালনা না হয় তবে বিচ্যুতিগুলো যুগে যুগে রয়ে যাবে। আমাদের দেশে বর্তমানে যে রাজনীতির চর্চা হচ্ছে সেখানে সহিংসতার রাজনীতি বলতে কিছুই নেই। আজকে যে পরিণতিটা আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটা মূলত সুবিধাজনক রাজনীতি তত্ত্ব এর কারণেই ঘটেছে। এই দেশটি আমাদের সবার সেই দেশটির সকলের চিন্তাভাবনাকে সমন্বয় করেই আমাদের চলতে হবে।
সুভাষ সিংহ রায়ঃ
আওয়ামী লীগের জন্ম সূত্রে পাওয়া যে সংগ্রামী চেতনা সেই সংগ্রামী চেতনা থেকে বিচ্যুতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই সুযোগ নেই বলেই এইযে ভাস্কর্য, প্রতিমা ও মূর্তি এর সমাধান কিন্তু অনেক আগে হয়ে গেছে। তাইতো কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন আমরা ভুলিয়া গিয়াছি উদারতা তাইতো ধার করেছি ধর্মান্ধতা। রাজনৈতিক পথ চলায় অনেক ধরনের স্বার্থ ত্যাগ করে চলতে হয়। আজকে প্রকৌশলীরা ও মানববন্ধন করেছে তারা তো বলেছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য শুধু প্রতিকৃতি নয় এটি একটি বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনকি যেসব পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেই সব পাকিস্তানি অর্থাৎ জিন্নাহর ভাস্কর্য প্রায় আড়াই মিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল।