টেবিল টক এশিয়ান টিভি ১৯০০ ঘটিকা ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-03 19:00:00
ড. এ. এস. এম আলমগীরঃ
যেখানে করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতা এখনো বেশি আছে সেখানে আমরা টেস্টের সংখ্যা বাড়াবো। করোনা সংক্রমণ যদি ব্যাপক আকারে হয় তাহলে আমাদের এটা প্রতিরোধ করারও একটা পরিকল্পনা আছে। আমাদের চিকিৎসকরা প্রথম দিকে একটু ভয় ভীতির মধ্যে ছিল। এখন ডক্টররা অনেক দক্ষতার সাথে রোগীদের করোনা চিকিৎসা দিচ্ছেন। এদেশে একটা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আছে, যারা জীবিকার জন্য যুদ্ধ করে তাদের জন্য লকডাউনের সাপোর্টটা আমরা দিতে পারছিনা। অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ আছে যারা একদিন কাজ না করলে খাবার জোটে না, সে কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন প্রথমদিকে আমরা গার্মেন্টস খুলে দিয়ে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলাম। পর্যায়ক্রমে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আমাদের বর্তমান সরকার একটি উদ্যোগ নিয়েছেন নো মাস্ক নো সার্ভিস। জরিমানা বা শাস্তি দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো যেতে পারে, কিন্তু ৫০ লক্ষেরও বেশি একটা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আছে যারা ইচ্ছে করলেও মাস্ক কিনতে পারে না। তাদের মাস্ক কেনার সামর্থ্য নাই। সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাস্ক বিতরণ করছেন। হয়তো মানুষ ভয়ে মাস্ক পড়ছে কিন্তু এটা আসলে ব্যক্তিগত সচেতনতার দরকার।
. মোঃ আল-আমিন সেতুঃ
আমাদের দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অথবা জীবন-জীবিকার কারণে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষের বাইরে যাওয়া এখন অনেক বেড়েছে, মানুষের সমাগম বেড়েছে যারা আগে বের হতো না তারা এখন বের হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা আগে বের হতো না, তারাও এখন বের হচ্ছে। ফলে অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছে, কিন্তু তারা নিজেরাও জানেনা। অনেক অভিভাবকরা মাস্ক পরে কিন্তু শিশুদের মাস্ক পরায় না। এই কারণেই দেখা যায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যেকোনো ভাইরাস শীতের সময় একটু বাড়ে। প্রথমদিকে করোনা নিয়ে ডাক্তারদের মাঝে একটু ভীতি ছিল, থাকলেও তারা পরে অতি সাহসের সাথে করানো মোকাবেলা করেছে। আমাদের জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রশংসা করেছেন এবং আমাদের স্বাস্থ্যদপ্তরেরও প্রশংসা করেছেন। দ্বিতীয় ঢেউ এর জন্য আমাদের যা করণীয় সেটা হল কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বাইরে যাওয়া যাবে না, মাস্ক পরতেই হবে, হাত ধোয়ার অভ্যাসটাও বহাল রাখতে হবে।
ডা. আহসিনা জাহান লোপাঃ
মানুষের মাঝে এখন একটা আতংক কাজ করছে এবং শীতের সময় রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। আমাদের টেস্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে এবং মানুষ এখন হসপিটাল মুখি হচ্ছে। আইসিইউর সংকটটা এখনো আমরা বেশি ফিল করি নাই। করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তবে এমন হয় নাই যে আমাদের বেড নাই এবং রোগী ফেরত দিচ্ছি। করোনা আমাদের কাছে নতুন একটা রোগ যেটার সাথে আমরা কখনোই পরিচিতি ছিলাম না। চিকিৎসকরা আমরা প্রথম থেকেই কাজ করে আসছি। জীবনকে বাজি রেখে বলেন, পরিবারবর্গকে ছেড়ে রেখে বলেন প্রথম থেকেই চিকিৎসকরা কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ডাক্তাররা আমরা করোনাকে খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি এখন বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতেও কিন্তু এখন কোভিড, নন কোভিড অপশন করা হয়েছে। সবদিক থেকেই আমরা এখন অনেক এগিয়ে গেছি। আমাদের কোনো ঘাটতি এখন নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনিও আমাদেরকে বলেছেন যে চিকিৎসকরা কাজ করছেন, আমিও জানি যে আমাদের সরকার আমাদের পাশেই থাকবেন। অবশ্যই চিকিৎসকদেরকে তিনি দেখবেন।