মুক্তবাক চ্যানেল ২৪ ২৩০০ ঘটিকা ০১ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-01 23:00:00
ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনঃ
আপনারা জানেন আজকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের গ্লোব বায়োটেক পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য সচিব মহাদয় আমাদেরে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন উভাবনের প্রশংসা করেছেন এবং সরকারের তরফ থেকে সকল প্রকার সহযোগীতার জন্য ডিজি হেলথ ও ডিজি ড্রাগস এবং আইইডিসিআর এর কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের এখানে আসেন। আমাদের ভ্যাকসিনের নাম ছিলো বিএনকোভিড সেটা আমরা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এই ভ্যাকসিনটি উৎস্বর্গ করতে চাই এবং যেই কারণে তারা বঙ্গভ্যাক্স নামটি প্রস্তাব করেন, আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান সাহেব সেটা সাদরে গ্রহণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের কাজে উৎসাহ দেয়ার জন্য। আমরা প্রথম ৩ মাস আইসিডিডিআরবি ভালো ভাবে কাজ করেছি এবং ৯বার মিটিং করেছি কিন্তু এরপর ক্লিনিকাল ট্রায়েলের সময় আমরা তাদের কোন দৃশ্যমান ও সন্তোষজনক অগ্রগতি না দেখতে পেয়ে হতাশ হয়ে যাই। আমরা পরপর ২বার প্রাণীদের শরীরে আমাদের ভ্যাকসিন ট্রায়েল করেছি এবং ২ বারই আমরা কার্যকর এন্টিবডি পেয়েছি। আমরা আশাবাদী মানবদেহে যখন ট্রায়েল হবে তখন তেমনই ফলাফল পাওয়া যাবে। বিশ্বের সব দেশে গুলোই ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশন কাজ করতেছে সেকারণে পিআর রিভিউ জার্নালে ডাটা প্রকাশ করাটা বাধ্যতামূলক না। আমরা সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ বায়ো আর্কাইভে আমাদের ডাটা প্রকাশ করি এবং পিআর রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করার প্রক্রিয়া চলছে। উন্নত দেশগুলো যেভাবে আগাচ্ছে সেভাবে আমরাও আগাচ্ছি। আমরা চাচ্ছিলাম আইসিডিডিআরবি আমাদের দেশিও একটি প্রতিষ্ঠান সুতরাং আমাদের সাথে কাজ করুক কিন্তু তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাইনি বলে তাদের কাছ থেকে দূরে সড়ে এসেছি। আইইডিসিআর এর পরামর্শ অনুযায়ী আগাচ্ছি এবং আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল সম্পন্ন করবো।
৯। |
০১২৩০০ ডিসেম্বর ২০২০ চ্যানেল-২৪ মুক্তবাক |
উপস্থাপকঃ মানজুর আল মতিন আলোচকঃ ১। ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, হেড অব কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২। ড. আনোয়ারুল ইকবাল, সাবেক ইউনিট প্রধান, মহামারী নিয়ন্ত্রণ, আইসিডিডিআরবি ৩। ডা. মানজুর শওকত, ক্লিনিক্যাল লেকচারার, মেডি. অনু, ইমপেরিয়াল কলেজ, লন্ডন |
করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন প্রাপ্তি |
ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনঃ আপনারা জানেন আজকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের গ্লোব বায়োটেক পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য সচিব মহাদয় আমাদেরে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন উভাবনের প্রশংসা করেছেন এবং সরকারের তরফ থেকে সকল প্রকার সহযোগীতার জন্য ডিজি হেলথ ও ডিজি ড্রাগস এবং আইইডিসিআর এর কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের এখানে আসেন। আমাদের ভ্যাকসিনের নাম ছিলো বিএনকোভিড সেটা আমরা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এই ভ্যাকসিনটি উৎস্বর্গ করতে চাই এবং যেই কারণে তারা বঙ্গভ্যাক্স নামটি প্রস্তাব করেন, আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান সাহেব সেটা সাদরে গ্রহণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের কাজে উৎসাহ দেয়ার জন্য। আমরা প্রথম ৩ মাস আইসিডিডিআরবি ভালো ভাবে কাজ করেছি এবং ৯বার মিটিং করেছি কিন্তু এরপর ক্লিনিকাল ট্রায়েলের সময় আমরা তাদের কোন দৃশ্যমান ও সন্তোষজনক অগ্রগতি না দেখতে পেয়ে হতাশ হয়ে যাই। আমরা পরপর ২বার প্রাণীদের শরীরে আমাদের ভ্যাকসিন ট্রায়েল করেছি এবং ২ বারই আমরা কার্যকর এন্টিবডি পেয়েছি। আমরা আশাবাদী মানবদেহে যখন ট্রায়েল হবে তখন তেমনই ফলাফল পাওয়া যাবে। বিশ্বের সব দেশে গুলোই ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশন কাজ করতেছে সেকারণে পিআর রিভিউ জার্নালে ডাটা প্রকাশ করাটা বাধ্যতামূলক না। আমরা সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ বায়ো আর্কাইভে আমাদের ডাটা প্রকাশ করি এবং পিআর রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করার প্রক্রিয়া চলছে। উন্নত দেশগুলো যেভাবে আগাচ্ছে সেভাবে আমরাও আগাচ্ছি। আমরা চাচ্ছিলাম আইসিডিডিআরবি আমাদের দেশিও একটি প্রতিষ্ঠান সুতরাং আমাদের সাথে কাজ করুক কিন্তু তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাইনি বলে তাদের কাছ থেকে দূরে সড়ে এসেছি। আইইডিসিআর এর পরামর্শ অনুযায়ী আগাচ্ছি এবং আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল সম্পন্ন করবো।
ড. আনোয়ারুল ইকবালঃ গ্লোব বায়োটেক যখন আইসিডিডিআরবি’র সাথে চুক্তি বদ্ধ হয় তখন তারা গর্বিত হয়েই কিন্তু সংবাদ |
নেতিবাচক মন্তব্য নেই |
---|
২০
|
|
|
|
সম্মেলন করেছিলো। বাংলাদেশ চাই তাদের ভ্যাকসিনটা সফল হোক তাহলে বাঙ্গালি হিসেবে আমি অনেক খুশি হবো। একটা ভ্যাকসিন সফল হতে গেলে কিছু ধাপ আছে সেগুলো পার হতে হয়। পৃথিবীতে তালিকা ভূক্ত ২৩০টি ভ্যাকসিন তৈরি প্রার্থী রয়েছে। আমাদের সরকার বলেছে তারা যদি ডাব্লিউএইচও এর অনুমোদন পায় তাহলে সরকার সাথে সাথে তাদের অনুমতি দিবে। আইসিডিডিআরবি ছাড়া ফিল্ড ট্রায়েল করারমত কোন সংস্থা নেই মানে তারা বেস্ট। আইইডিসিআর এর একার সক্ষমতা নেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল দেয়ার এখানে আইসিডিডিআরবি সাথে রাখতেই হবে। গ্লোব বায়োটেক কাজে আমরা সবাই গর্বিত কিন্তু তাদের একটা ভুল উদ্যোগে কিন্তু আমরা সবাই বিপদে পরে যাবো। গ্লোব বায়োটেকের দুটা ট্রায়েলই পিআর রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করা প্রয়োজন। আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মত যদি কাজ করা হয় তাহলে ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয় নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। করোনার প্রথম সারির যোদ্ধা তারপর, বৃদ্ধ এবং তারপর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভ্যাকসিন দেয়া উচিত। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কেও প্রথম সারিতে রাখা দরকার। আমাদের সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতেই হবে।
ডা. মানজুর শওকতঃ যুক্তরাজ্যর নিজেস্ব ২টি ভ্যাকসিন করেছে একটি হচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন এবং ইমপেরিয়াল কলেজ আরেকটা ভ্যাকসিন তৈরি করছি সব ভ্যাকসিনই ফেস থ্রী ট্রায়লে লেভেলে আছে, মানব দেহে ফেস থ্রী ট্রায়লেপর গবেষণা করে বলা যাবে যে ভ্যাকসিনের স্থায়ীত্বের বিষয়টা কেমন হবে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়েল বিভিন্ন দেশে দেয়া হচ্ছে, বাংলাদেশের সরকার যদি ভ্যাকসিন তৈরির প্রথমদিকে অক্সফোর্ডের সাথে যোগাযোগ করতেন তাহলে হয়তো আমাদের দেশেও আনার সুযোগ ছিলো। অক্সফোর্ড বলেছে আগামী এক বছরে ২০২০ এর মধ্যে তারা সারা বিশ্বের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে, সরকারের এখনো সুযোগ আছে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের পিছু ছাড়া উচিত না। আগামী সপ্তাহে ব্রিটেনে সর্বপ্রথম মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে এবং যারা যত বেশি ঝুঁকিতে আছে তাদের বেশি গুরুত্ব পাবে। বাইরের দেশগুলোতে আর ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে লকডাউন করা হয়েছে সেটা বাংলাদেশে হয়নি, পরিস্থিতির উপর লকডাউন নির্ভর করে। |
|
---|