২৪ ঘন্টা যমুনা টিভি ২৩০০ ঘটিকা ০১ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-01 23:00:00
অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান খসরুঃ
করোনার ভ্যাকসিন আমরা কবে পেতে পারি সেটা একটি জটিল প্রশ্ন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক দেশই করোনার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলো ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখছে। বর্তমানে নয়টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে আমরা যদি ধরি এর মধ্যে চারটি ভ্যাকসিন ও কার্যকর হবে। সেইসব কোম্পানিগুলো যদি ভ্যাকসিন এর সর্বোচ্চ উৎপাদন করে তারপরও বাংলাদেশের মত দেশে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য সম্ভাবনা খুবই কম। বাংলাদেশ তার নিজস্ব অর্থ খরচ করছে ভারত থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এই ক্ষেত্রেও স্মরণ রাখতে হবে যে যদি ভারতে সেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয় তবে আগে ভারত নিজেরা সেটা ব্যবহার করবে তারপরই বাংলাদেশকে দিবে
অধ্যাপক ড. বেনজীর আহমেদঃ
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। তবে এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে কিনা সেটা নিয়েও আমাদের অনেক কিছু ভাবার আছে। যদিও আমাদের দেশে এই ভ্যাকসিনগুলো যদি ট্রায়েল হতো তবে হয়তো আমাদের কিছুটা হলেও ধারণা থাকত। তার মানে আমাদের ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। এছাড়াও যারা ধনী দেশ রয়েছে তারা কিন্তু একটি ভ্যাকসিনের উপরে ভরসা করতে পারছে না তাই তারা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ভ্যাকসিনের বুকিং দিয়ে রাখছে। যদিও আমাদের মত দেশের পক্ষে সেটা সম্ভব নয় তবে আমরা ভারতের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে অবশ্যই ট্রায়াল' দিলে ভালো হবে।
রাশেদ রাব্বিঃ
বাংলাদেশ এপ্রিল ও মে মাসের আগে ভ্যাকসিন আসার কোন সুযোগ নেই। এই তথ্যগুলো এখন কিন্তু আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ও জানতে পারি যে ভ্যাকসিন তৈরি আসলে কোন পর্যায়ে আছে কবে নাগাদ আসতে পারে। তবে যেসব কর্তাব্যক্তিরা বলেন ভ্যাকসিন আজকে আসবে কালকে আসবে সেই কথাগুলোর আসলে কোনো অর্থ নেই। তবে আমাদের দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বারবারই বলে আসছে ভ্যাকসিন এর বিকল্প হলো মাস্ক। তাই মাস্ক ব্যবহারে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।