সংবাদ সম্প্রসারণ ডিবিসি নিউজ ২০০০ ঘটিকা ০১ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-02 08:06:00
অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নাঃ
হাইকোর্টের রায় মানে সেটা রায় অর্থাৎ বিজয়ের মাসে রায়টা যে অন্যরকম হবে সেরকম কিন্তু নয়। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়ে যে ধোঁয়াশা টা ছিল সেটা এখন কেটে গেছে। এই আইনটি আমাদের কাছে যেমন পরিষ্কার হয়েছে সাধারণ জনগণের কাছেও তেমনি পরিষ্কার হয়েছে। যুদ্ধ অপরাধীদের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড টা অন্যরকম কেন কারণ ওটা ট্রাইব্যুনালের মামলা। ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া খুব দ্রুত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সনদ বিক্রি সেটা যে শুধু এখন হচ্ছে সেটা কিন্তু নয় সেটা ১৯৭১ সালের পর থেকেই হয়ে আসছে৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে প্রায় সাড়ে ৬ কোটির মত লোক ছিল এরমধ্যে গুটিকয়েক রাজাকার বাদে আর সবাই বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
নাজমুল আশরাফঃ
এই বিজয়ের মাসে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে অর্থাৎ যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদের ক্ষেত্রে যে সাজার বিধান করেছে সেটা আশাব্যঞ্জক। বিশেষ বিশেষ সময়ে ভালো খবর এর তাৎপর্য সব সময় বেড়ে যায়। তবে যাবজ্জীবন ও আমৃত্যু কারাদণ্ড ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট করা উচিত ছিল সেটা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ সার্টিফিকেট যে সরকার যখন আসে তারা তাদের মত প্রণয়ন করে। তবে আমি আশা করি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অন্তত একটি সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হোক।
গোলাম মোর্তোজাঃ
আমরা যেহেতু আইনের লোক নই তাই এই আইন বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তবে এটা বুঝতে পেরেছি যে এই ব্যাপারটা নিয়ে যে ধোঁয়াশা টা ছিল সেটা এখন কেটে গেছে। তবে আমাদের কাছে মূল ব্যাপার হলো আইনের শাসনের ব্যবস্থা করা। যেহেতু আইন বিভাগ একটি নিরপেক্ষ জায়গা তাই আমরা এরকম একটি আইন বিভাগ দেখতে চাই যেখানে সাধারন মানুষ গেলে ন্যায়বিচার পাবে। অর্থাৎ যেখানে গেলে মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে সেই জায়গাটা আগে ঠিক করা জরুরি। তবে জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুবিচার। আমাদের সক্ষমতা আসলে এতটাই কম যে আমরা গত পঞ্চাশ বছর যাবত একটি সঠিক মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করতে পারলাম না। আমরা যেহেতু রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেই দেশে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট এইভাবে বিক্রয় করা হবে সেটা কোনভাবেই কাম্য নয়।