একাত্তর সংযোগ একাত্তর টিভি ২০০০ ঘটিকা ০১ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-01 20:00:00
ডা. তারেক হোসেনঃ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি বলতে চাই, অলরেডি আমাদের করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশই এর মুখোমুখি হয়েছে। এটা আনএক্সপেক্টেড নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আগে থেকেই সতর্ক করেছেন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার জন্য। আপনারাও লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, বেশ কয়েকদিনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। টেস্টের সংখ্যাও বেড়েছে, এমনকি মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। ভ্যাকসিন কবে আসবে এটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে বলতে পারি আগের থেকে এবারের প্রস্তুতি অনেক ভালো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম আমাদের অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে একটু জটিলতা তৈরি হতে পারে। কারণ এতগুলো ভ্যাকসিন প্রস্তুত হচ্ছে, এর মধ্যে কোনটা ভালো সেটা নির্বাচন করা খুবই কঠিন।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরুঃ
আমাদের দেশে যখন করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা গেলো সর্বস্তর থেকেই বলা হলো যে, করোনাকে ভয় পাবেন না এবং আতঙ্কিত হবেন না। এই কথাটির সূত্র ধরেই মানুষ করোনাকে তেমন ভয় পায় নাই। যে কারণেই মানুষ এতো খোলামেলা ভাবে চলাফেরা করছে। আমরা যে ভুলটি করেছি সেটা হলো, মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকাতে পারিনি। দ্বিতীয় ওয়েভেও আমরা দেখছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবেলা করতে সতর্ক হতে বলেছেন কিন্তু ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া আমরা দেখছি না। গত দুই তিন মানুষের চলাফেরা কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে সেটা বল প্রয়োগের মাধ্যমে। অর্থাৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যাওয়ার জন্যই এটা হয়েছে। এটাকে কোনোভাবেই সচেতনতা বলা যাবে না। মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব এই দুইটি মহামারি মোকাবেলার একমাত্র ঔষধ। এর থেকে ভালো আর কিছু নেই। সরকার বলছে, সর্বপ্রথম তিন কোটি ভ্যাকসিন এনে প্রাথমিকভাবে প্রয়োগ করা হবে। তিন কোটি ভ্যাকসিন মানে দেড় কোটি মানুষ এর সুবিধা পাবে। তবে কিছু ভ্যাকসিন অপচয় হবে। আলটিমেটলি ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ
এর সুবিধা পেতে পারে। আমাদের প্রায় ১৩ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন। যা এখন খুবই দুষ্প্রাপ্য। যার কারণে আমাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা সংক্রমণকে প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিবে।
ডা. হাবিবুর রহমানঃ
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মাস্ক পরতে হবে, এটার কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষ সবাই এটা জানে। তারপরও কেনো জানি সবাই মানতে চায় না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছে এই মেসেজটি আমরা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি কিন্তু সমস্যাটা হলো, মাস্ক পরতে হবে জেনেও মানুষ এটা পরছে না। আমি মনে করি, করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভয় ছিলো এখন সেই ভয় কিছুটা কমে গিয়েছে। সঠিকভাবে আমরা যদি মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলি তবে করোনাকে ভয় পাওয়ার তেমন কিছু নেই। যদি গ্লোব বায়োটেক প্রমাণ করতে পারে তাদের ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে উপযুক্ত তবে অবশ্যই আমরা গ্লোব বায়োটিকের ভ্যাকসিন ব্যবহার করবো। গ্লোব বায়োটেক যদি আমাদের দেশের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করে তবে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য একটি সুখবর।
সুভাষ সিংহ রায়ঃ
করোনা নিয়ে আমরা সাধারন মানুষ খুব ছেলে খেলা করছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম থেকেই করোনা মোকাবেলার জন্য সবাইকে সতর্ক করেছেন এবং করোনাকে জয় করার অঙ্গিকার করেছিলেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার সময় বলেছিলেন, ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। সর্বস্তরের মানুষ যেনো ভ্যাকসিন পায় সেভাবেই কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এর জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক।