সমসাময়িক বিষয়, তৃতীয় মাত্রা, চ্যানেল আই ০১০০ ঘটিকা ০১ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-01 01:00:00
আব্দুস সালামঃ
স্বাধীনতার পরে আমাদের সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল, সেই গণতন্ত্র অজানা রয়ে গেল। এখনো গণতন্ত্র যেন একটা সোনার হরিণ। মানে কোনভাবে গণতন্ত্রটাকে আমরা ধরতে পারছি না, ছুঁতেও পারছি না। আজকের স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যখন পুর্তি করতে যাচ্ছি আমরা সে অবস্থায়, সেই একই জায়গায় মনে হয় আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আগে ছিল একটা বহিঃশক্তি বা উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সে সময় আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু বর্তমানে নিজের দেশের মধ্যে নিজেদের দেশের সরকার যারা ক্ষমতায় আছে তারা ক্ষমতায় থাকার পরও আজকের মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, কোনটাই আজকে বলা চলে নাই। শুধুমাত্র বাংলাদেশটা নামের বাংলাদেশটা আছে। স্বাধীন একটা পতাকা আছে কিন্তু মানুষের স্বাধীনতা নাই,। আজকে মেগা উন্নয়ন, মেগা চুরি হচ্ছে, মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। আজকে যেটা বললেন যে ঠিক আছে আজকে এই সেতু, যে সেতুটার কথা বলা হলো আজকে এটার বাজেট কত ছিল? আজকে এটা ফিনিশ করতে গিয়ে বাজেট আজকে কত টাকা আসতেছে। আজকে হিসেব করে দেখেন আজকে যদি আমরা দেখি যে একটা উন্নয়নের জন্য ভারতে বা নেপালে বা আজকে পাকিস্তানে বা পাশাপাশি দেশগুলোতে পার কিলোমিটার রাস্তা করতে আমার কত টাকা লাগে আর আমার দেশে কত টাকা লাগে? আমার ডেভেলপমেন্টটা কি হচ্ছে? আমার ডেভেলপমেন্ট আজকে চুরি, আজকে কোথায়, আজকে বিদেশে টাকা যাচ্ছে কোথ থেকে যাচ্ছে? আজকে যেসব আজকে কি খনি পাওয়া যাচ্ছে আওয়ামী লীগের বাড়ি থেকে টাকার খনি অর্থাৎ ১/২ টাকা না কোটি কোটি টাকা আজকে পাওয়া যাচ্ছে। খনি বের হচ্ছে এ টাকাগুলো কোথা থেকে আসতেছে, এ টাকাগুলো তো দুর্নীতি। এবং দুর্নীতি কোথা থেকে আসতেছে। এই সমস্ত মেগা প্রজেক্ট থেকে আসতেছে। এজন্য উন্নয়ন মানে জনগণের উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে আজকে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন হয়েছে। যেটা হয়েছে যে বিনা ভোটেই সরকার চলে আসছে। এর আগের বার ১৫৩ সিট আগে নিয়ে নিছে, যাতে নির্বাচনের কোথাও হেরফের কিছু না করা যায়। বেগম খালেদা জিয়া ইচ্ছা করলে তো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারতো। সেও বলতে পারতো যে জনগণ আমাকে ম্যান্ডেট দিছে,
গোলাম সারোয়ার মিলনঃ
একথা স্বীকার করতে হবে যে, বিশেষ করে বিগত ১০ বছরে এ সরকার ধারাবাহিকভাবে থাকার কারণে হয়তো উন্নয়ন হয়েছে, যদিও সেখানে বৈষম্য বেড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের যে আকাঙ্ক্ষাটা ছিল, আমরা একটা শান্তি-সুখের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আমরা আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়ে উঠবো। আজকে পদ্মা সেতুর উপর ব্রিজ হতে যাচ্ছে সফলভাবে। আজকে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট হতে যাচ্ছে। একথা স্বীকার করতে হবে যারা দুর্নীতি করেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তার সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন তার দলের লোকদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার যে অঙ্গীকার ছিল সেটা ধীরে ধীরে ফিরে এসেছে। জিয়াউর রহমানও কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করতেন। কিন্তু এখনকার উনাদের নেতারা তারেক রহমান সাহেব যে ভাষায়, যে শব্দ উচ্চারণে কথা বলেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেটা কিন্তু সাধারণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লাগে।