রাজনীতি এখন জনতন্ত্র গণতন্ত্র, নিউজ ২৪ টিভি ২০০০ ঘটিকা ৩০ নভেম্বর ২০২০
2020-11-30 20:00:00
জয়নুল আবদিন ফারুকঃ
বিশ্বের ইতিহাসে আমি লেখা পড়া যতটুকু আমি রাজনৈতিক বইগুলা পড়েছি বা ইতিহাস পড়েছি কোন স্বৈরাতন্ত্রই চিরস্থায়ী হতে পারে না, ৩০/৩২ বছর থাকতে পারে কিন্তু চিরস্থায়ী হতে পারে না। বাংলাদেশের এই সরকারকে আমি এখন স্বৈরাচারী বলবো না গণতান্ত্র হত্যাকারী বলবো, না বাংলাদেশের প্রশাসনকে ব্যবহার করে যে রাজনীতি তারা করছেন সেটা বলবো। সে বিষয়ে আমি এখনো মুখ খুলবো না শেখ শহীদ ভাই এবং আমার বন্ধু শহীদের কথা শুনে আমি কিছু কথা বলার চেষ্টা করবো। তবে শুধু আপনাকে এইটুকু বলতে চাই বাংলাদেশে বর্তমান প্রেক্ষাপটের রাজনীতি সুখকর নয় । আমি হিসেব করে বলতে চাই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে যারা ছিলো এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক কারা তা প্রমাণ করার জন্য একটা নিরপেক্ষ ভোট দিয়ে দেখেন, একটা সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখেন, সংবিধান মোতাবেক একটা নির্বাচন দিয়ে দেখেন। লুটের ভোট বন্ধ করেন, রাতের ভোট বন্ধ করেন কে ডানপন্থী কে বামপন্থী সেটাই পরিচয় পাবেন ফলে পরিচয় পাবেন । আমরা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করি না, সেখানে আমি মনে করি আপনাদের এই কথাগুলোর সাথে আমি একমত নই বাংলাদেশে আপনারা রাষ্ট্র, প্রশাসন যেভাবে চালাচ্ছেন সেভাবে কিন্তু একটা রাষ্ট্র যন্ত্র চলতে পারে না ।
শেখ শহীদুল ইসলামঃ
আমাদের দেশে এখন অনেক দল, মত, বহুদলীয় গণতন্ত্র আমাদের দেশে চালু এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে আমরা নিঃসন্দেহে দেখতে পাই ভিন্ন ভিন্ন মত, ভিন্ন ভিন্ন পথ ভিন্ন ভিন্ন দলে। কিছু দল গণতন্ত্রের চেতনাকে বিশ্বাস করেন, কোন দল এই চেতনার বিরুদ্ধে রয়েছে এবং কিছু দল রয়েছে যারা এই গণতন্ত্রের চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে বঙ্গবন্ধু যে ম্যানডেট নিয়েছিলেন সেই ৬ দফার মধ্যে যে কথাগুলো ছিলো সেখানে আমরা দেখতে পাই তিনি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন এবং সেভাবেই একটা রাজনৈতিক কর্মসূচি তৈরি করেছিলেন ৬ দফা। যেটা মানলেও দেশ স্বাধীন হয়ে যায় আর না মানার ফলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায়। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলো সেইসব দল জামায়াত ইসলামী বা বিএনপিকেও ডানপন্থী বলা যায়, এইসব দলগুলোতো ওই চেতনায় বিশ্বাসই করতো না, বিশ্বাস করতো না বলে জিয়াউর রহমান সাহেব সামরিক ফরমান দ্বারা সংবিধানের ৪ মূল নীতি পরিবর্তন করেছিলেন।
কমরেড খালেকুজ্জামানঃ
ব্রিটিশ বিরোধী আর এই ২০০ বছরের আন্দোলন বলি, পাকিস্তান বিরোধী ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই চেতনা ও গণ আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছিলো। পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শোষণের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মানুষ সমাজতন্ত্রের চেতনা পেয়েছে এবং কেউ খাবে কেউ খাবেনা এই স্লোগান উচ্চারণ হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তিনটি কথা দিয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার। মানুষের এখন ৫০ ভাগ মানে আতঙ্কে দিন যাপন করে, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নাই, ঘরের মধ্যে নিরাপদ নাই, রাস্তায় নাই এবং সমস্ত জায়গায়। যত বেশি দরিদ্র তত বেশি সে মানবিক মর্যাদা বঞ্চিত এবং সামাজিক ন্যায় বিচারের কথা না বলাই ভালো। এখন যে লোক মারা গেছে সেই লোক আবার উঠে আসছে এবং বিনা বিচারে মানুষ জেল খাটছে)।
উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদঃ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যতীত বাংলাদেশের নাম যারা মুখের নেন অন্তরে ধারণ করেন এক্ষেত্রে মনে হয় বাংলাদেশে থেকে চেতনার কথা অস্বীকার করলে বাংলাদেশের থাকা বা নাগরিক হওয়ার গৌরব অর্জন করার কোন সুযোগ নাই। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ এর জন্য আমারা আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটিকে ডেভেলপ করেছি। করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা কিছুই ছিল না কিন্তু সেখানেও আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন। দেশে এখন বিরোধী দল বলতে কোন কিছু নেই, সেহেতু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার মতো তাদের কোনো বিষয় নেই। কিছুদিন আগে দেশে দুটো উপনির্বাচন হয়েছে এবং সেখানে বিরোধী দল কিভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেখেছি এবং তাদের ফোনালাপও উপস্থাপন করা হয়েছিল।