নায়কের মৃত্যু নাই। একাত্তর সংযোগ একাত্তর টিভি ২০০০ ঘটিকা ২৬ নভেম্বর ২০২০
2020-11-26 20:00:00
আবু নাঈম সোহাগঃ
আমরা ম্যারাডোনার ফলোয়ার হিসাবে অবশ্যই আমাদের জন্য সে চলে যাওয়া মানে অনেক বড় কিছু হারানো এবং যখন আমরা একি ফুটবল ইন্ডাস্ট্রির লোক সেটা আমাদের জন্য আরও বেশি কষ্টদায়ক। ম্যারাডোনার জন্য আসলে আমরা আমাদের মত করে, গতকালকে আমাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে, ফেসবুকে, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে তার প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধা এবং সে যেন তার পরবর্তী লাইফে ভালো থাকেন সেজন্য শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
কায়সার হামিদঃ
সারা বিশ্বের জন্য একটা দুঃখের নিউজ যে এমন একজন ফুটবলার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন এবং প্রত্যেকটা মানুষেরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে কিন্তু হঠাৎ করে এমন একজন চলে যায় সেটা কষ্টদায়ক। ১৯৮৬ সালে মহাভারত চ্যাম্পিয়ন হয় সে সময় তারা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং এর সাথে যোগসুত্র রয়েছে, যদিও আমি ব্রাজিল সাপোর্টার কিন্তু ম্যারাডোনাকে আমার ভালো লাগে।
মোস্তফা মামুনঃ
ম্যারাডোনার আসলে বড় টুর্নামেন্টের প্লেয়ার, ম্যারাডোনা একাই একটা দল তিনি একটা দলকে টেনে নিতে পারেন কিন্তু তিনি তখনো দলের নেতা হতে পারেননি। ম্যারাডোনার জায়গাটাকে কিভাবে দেখা করব, ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সময় তার বয়স ছিল ২৫-৩০ এই সময় তিনি ভালো খেলেছেন কিন্তু এর আগ পর্যন্ত যেটা হয়ে থাকে, ম্যারাডোনার মতো টপ প্লেয়ারদের আপনা আপনি ফাউল হয়ে যায়। আগের যুগে টেলিভিশন ছিল না, রেফারিরা এখনকার মতো কঠোর ছিল না ফলে উনি ১৯৮২ ফাউলের শিকার হয়ে হয়ে শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের বিরুদ্ধে লালকার্ড পেয়েছিলেন, সেরকম অনেকগুলো জায়গা ছিল যেটা ওই বয়সের সঙ্গে যায়।
হাবিবুল বাশার সুমনঃ
সারাবিশ্বে অনেক খেলোয়ার আছেন, ক্রিকেট বলেন, বস্কেটবল বলেন কিন্তু আমার মনে হয় ম্যারাডোনাকে পছন্দ করে না এমন লোক খুবই কম আছে। আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি ম্যারাডোনার খেলা দেখে, ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ আমার প্রথম দেখা, আমি বিগত ভাবে তার বন্ধু হয়ে গেছি এবং তিনি সময়ের সাথে সাথে নিজেকে এডজাস্ট করেন, দলের প্রয়োজনে কি করতে হবে সেটাকে কন্ট্রোল করুন। একজন খেলোয়ার কিভাবে সবাইকে আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে তার খেলার জাদুকরী ভূমিকা দিয়ে সেটা এর থেকে ভালো কখন হতে পারে না এবং এখনো যখন বোরিং ফিল করি ম্যারাডোনার খেলা গুলো দেখি।
সাথিরা জাকির জেসিঃ
যখন আমি এই নিউজটি দেখেছি বিশ্বাস করিনি, যে এত তাড়াতাড়ি ম্যারাডোনা চলে যাবেন এটা আমরা কখনোই বিশ্বাস করিনা এবং আর ২০২০ সালে আমরা এত মৃত্যু দেখেছি, তার সাথে ম্যারাডোনার মৃত্যু আমরা চিন্তা করিনি। যখন থেকে ফুটবল বুঝি তখন থেকে একটা নাম বুঝি ম্যারাডোনা, একটা দেশ বুঝি আর্জেন্টিনা কারণ আর্জেন্টিনাকে আমরা সবাই চিনি ম্যারাডোনার জন্যই এবং আমরা যখন বিশ্বকাপ দেখতাম আর্জেন্টিনা যখন হেরে যেত আমরা কাঁদতাম।