বিদায় ম্যারাডোনা, জনতন্ত্র গণতন্ত্র নিউজ ২৪ ২০০০ ঘটিকা ২৬ নভেম্বর ২০২০
2020-11-26 20:00:00
আবদুল গাফফারঃ
বিশ্বের এবং শতাব্দীর সেরা প্লেয়ারদের মধ্যে একজন দিয়াগো ম্যারাডোনার গতকালকে হৃদ রোগের কারণে মারা গিয়েছেন, সারাবিশ্ব যেমন স্তব্দিত বাংলাদেশের মানুষও ঠিক তেমনভাবেই স্তব্দিত। ম্যারাডোনার কারণেই পুরো বিশ্ব আর্জেন্টিনাকে চিনেছে তার সাথে বাংলাদেশ তার কারণেই আর্জেন্টিনাকে চিনতে পেরেছে। ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলায় তার হাতে দেয়া গোলটি ছিল হ্যান্ড অব গড এবং ঈশ্বরের হাত। ৫ জনকে কাটিয়ে সে যে গোলটি দিয়েছিলো সেটা ছিল শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোল এবং সেখান থেকে কিন্তু ধীরে ধীরে আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক বেড়ে গিয়েছিল। বিশ্বে ফুটবল যতদিন বেঁচে থাকবে ম্যারাডোনার নাম বিশ্ববাসীর এর কাছে ততদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা ভবিষ্যৎ ম্যারাডোনা লিওনেল মেসির মধ্যেই দেখতে পাই, কারণ তার যে নৈপুণ্য সব গুণাগুণ গুলো মেসির মধ্যে রয়েছে।
সালাম মুর্শিদীঃ
বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা খেলোয়াড় ও আমাদের দেখা সমসাময়িক কিংবা এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্লেয়ার ছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা, এতে কোন সন্দেহ নাই। ১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনার যখন আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে নামে এবং বিশ্বকাপ জয়ী হয় তখন থেকে দিয়াগো ম্যারাডোনার ও আর্জেন্টিনার সমর্থক বৃদ্ধি পেতে থাকে। দিয়াগো ম্যারাডোনার যখন যে ক্লাবে খেলেছেন সেখানে তিনি লিড দিয়েছেন এবং সব জায়গাতেই সাফল্য পেয়েছেন। আমরা বিশ্বে এখন অনেক খ্যাতনামা প্লেয়ার দেখি যারা লীগে খুব ভালো খেলে কিন্তু জাতীয় দলে যেয়ে পারফরম্যান্স খারাপ কিন্তু ম্যারাডোনার সাফল্য ছিল সব জায়গাতেই। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ছিল আবার ৯৪ সালে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা হয়ে গিয়েছিল। গতকাল রাত ছিল ফুটবল প্রেমীদের জন্য সবথেকে দুঃখের একটি কালোরাত। ফুটবলে হয়তো সামনে অনেক ভালো ভালো খেলোয়ার আসবে কিন্তু ম্যারাডোনার মতো খেলোয়াড় আসবে কিনা সেটা একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের জানা ও বোঝা শেষ।
আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নুঃ
নেইমার এবং মেসির কথা বলা হয়েছে তারা অবশ্যই ভাল খেলোয়াড় কিন্তু আমার মতে ম্যারাডোনার শুধু ম্যারাডোনা নিজেই। ম্যারাডোনা পুরো বিশ্বের ফুটবলকে মাতিয়ে গিয়েছেন। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের আগে আমাদের দেশের মানুষ কিন্তু ফুটবল নিয়ে তেমন উৎসাহী ছিল না, পরবর্তী সময়ে যারা ম্যারাডোনার খেলা দেখেছেন তারা ধীরে ধীরে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দুটি ভাগ হয়েছে একটি আর্জেন্টিনা ও অন্যটি ব্রাজিল। ম্যারাডোনা তার খেলা ও আচরণ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা কেড়ে নিয়েছেন, আজকে তার প্রমাণ পাচ্ছি আমরা। যতদিন এই বিশ্ব বেঁচে থাকবে ততদিন ম্যারাডোনার কৃতি বেঁচে থাকবে।