সংবাদ পর্যালোচনা, সংবাদ সম্প্রসারণ ডিবিসি নিউজ ২০০০ ঘটিকা ২৬ নভেম্বর ২০২০
2020-11-26 20:00:00
মৃত্যুঞ্জয় বোসঃ
করনা ভাইরাসের ঝুঁকি তো থেকেই যাচ্ছে। আমি যে রাজ্যে থাকি অর্থাৎ মহারাষ্ট্র সেখানের যে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন তিনিও বারবার আমাদের সচেতন করে যাচ্ছেন। ইউরোপ ও আমেরিকা তে যেভাবে দ্বিতীয় ধাক্কা এসেছে সেরকম যদি আমাদের দেশেও আসে তবে সেটা অনেক ভয়াবহ হবে। তবে ভ্যাকসিন টা নিয়েই সবার জল্পনা-কল্পনা কিভাবে সেটা আসবে কাকে দেওয়া হবে কিভাবে দেওয়া হবে। এত অল্প সময়ে এতো মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সেটাও কিন্তু অনেক কঠিন কাজ সেটা কিভাবে করা হবে সেটা নিয়ে ও চিন্তাভাবনা চলছে। এখন আমরা মূলত মনোযোগী হচ্ছি ভ্যাকসিন কিভাবে সবার মধ্যে পৌঁছানো যায় এবং দ্বিতীয় ধাক্কাটা যদি চলে আসে সেটা কিভাবে মোকাবেলা করা যায়। আমরা ধারণা করছি ভ্যাকসিনটি ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারি প্রথমেই চলে আসবে। তবে ভ্যাকসিন চলে আসলে ফ্রন্টলাইনে যারা রয়েছেন তাদের কেই প্রথমে সেটা দেয়া হবে৷ এগুলোর ভিত্তিতেই ভ্যাকসিন প্রত্যেকটা দেশ কেই দেওয়া হবে।
আবু সাঈদ খানঃ
আসলে আমাদের দেশে করোনার সামগ্রিক চিত্রটা সামনে নেই যেহেতু টেস্ট এর সংখ্যা খুবই কম হচ্ছে তাই কত লোক যে আক্রান্ত সেটা আমরা বলতে পারব না। এন্টিজেন টেস্ট করলেও এর ব্যাপকতা হয়তো বৃদ্ধি পেত তবে এ বিষয়ে সরকার কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমি জানি না। তবে এখন আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জটি রয়েছে সেটা হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করা। তবে যে দেশই ভ্যাকসিন উৎপাদন করুক না কেন আমরা অবশ্যই ভ্যাকসিন পাব এবং এই বিষয়ে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। তবে যে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে তারাই সেটা আগে পাবে এই বাস্তবতা আমাদের মেনে নেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ভ্যাকসিন এর জন্য বিভিন্ন উৎস থেকেই চেষ্টা করছে সংগ্রহ করার। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের যে কাজটা করা দরকার যে, এই ভ্যাকসিন গুলো কিভাবে আনা হবে এবং কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেই দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
তবে আমার মতে ভ্যাকসিন গুলো যেভাবে সংরক্ষণ করতে হবে সেই সংরক্ষণ ব্যবস্থা আসলে বাংলাদেশের নেই। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আগে থেকে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। জঙ্গিবাদ আসলে কখনোই নির্মূল করা সম্ভব নয় তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব৷ তবে এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা টা অবশ্যই প্রশংসনীয় কেননা তারা এ বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর। তবে আমাদের উচিত জঙ্গিবাদের যে উৎসগুলো রয়েছে সেগুলো কে বন্ধ করা। অর্থাৎ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জুলহাস আলমঃ
ভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতটা গুরুত্ব দিয়ে কথা বলেন আসলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যাপারটাকে অতটা গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করতে পারে না সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সেই মার্চ মাসে আমরা করোনার সম্মুখীন হয়েছি। এরপরে সাত মাস কেটে গেল এর মধ্যে আমরা কেন এই বিষয়গুলো প্রস্তুত রাখিনি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনার বিষয়ে অনেক সিরিয়াস অথচ আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেন জানি সেই সিরিয়াসনেস ধরে রেখে কাজ করতে পারে না। এই দেশের মানুষরা আসলে অসহায়। আসলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেতে চান আর তার সাগরেদরা অন্যদিকে যেতে চান। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ একটি আরেকটির পরিপূরক করা অর্থাৎ মৌলবাদ থাকলে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে এটাই স্বাভাবিক। ধর্মীয় চর্চায় আমার কোন আপত্তি নেই তবে এর সাথে যখন রাজনীতি যুক্ত হয় তখনই সেটা ভিন্ন পথে চলে যায়।