সমসাময়িক বিষয়, নিউজ এন্ড ভিউজ বাংলাভিশন ০০০১ ঘটিকা ২৬ নভেম্বর ২০২০
2020-11-26 00:01:00
ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহঃ
আমাদের কিন্তু সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দিকে সংক্রমণের হার কম ছিল, মৃত্যুর ঝুঁকি কম ছিল, গত কয়েকদিনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন করে ফেলেছে আমাদের এবং সংক্রমণের হার বাড়ছে, মৃত্যুর হার বাড়ছে, এরমধ্যে ১০৪ জন ডাক্তার মারা গিয়েছেন। শুধু আমাদের দেশে না সারা পৃথিবীব্যাপী দেখতেসি যেহারে সংক্রমণ বাড়ছে যদি এই ভাবে সংক্রমণ বাড়তেই থাকে তাহলে আমরা মনে করি শীতে করোনা ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং আমরা সবাই ভয় পাচ্ছি যে শীতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য, যেহেতু সামনে সেই ঝুঁকি বাড়তে পারে। মাক্স নিয়ে উদাসীন ভাব মানুষের মধ্যে রয়ে গেছে, তারা মনে করে আমাদের করোনা হবে না এজন্য তারা মাক্স ব্যবহার করেনা, আমাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব অনেক বেশি এবং এদিক থেকে আমাদের বের হওয়া দরকার, আমাদের প্রচার প্রচারণা চালানো দরকার, আমার নিরাপত্তা নিয়ে যদি আমি না ভাবী তাহলে শুধু সরকার একা সবকিছু করতে পারবেন, সেখানে আমাদের নিজেরো দায়িত্ব রয়ে গেছে। আমি মনে করি টিকার ব্যাপারে আমরা তাড়াহুড়া না করে, টিকিটা যেন এমন হয় যেটা কার্যকরী, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে যেন হয়, আমরা যদি বিনা পয়সায় পাই সেটা আরো ভালো, সরকার হয়তো চেষ্টা করবে বিনা পয়সায় টিকা দিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ১ হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে রাখছেন টিকার জন্য, আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে যখনই টিকা আসবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট সচেতন, আমরা টিকা হয়তো পেয়ে যাব।
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীঃ
একটা মহামারী, এই মহামারী টাকে রোধ করার জন্য সারা পৃথিবীব্যাপী সরকার থেকে বলেন, জনসাধারণ থেকে বলেন, গোষ্ঠী থেকে বলেন, সংস্থা থেকে বলেন তারা প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং কোনো কোনো উন্নত দেশে মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে যাচ্ছে যে লকডাউন মানি না, মাক্স ব্যবহার করতে পারব না। এইযে প্রবণতাটা এর কারণ হচ্ছে দীর্ঘ ৯ মাস যাবত ঘর বন্দী হয়ে আছে, তারার বন্দী হয়ে থাকতে চাচ্ছেনা, মানুষকে শৃঙ্খলা রাখার যে প্রয়াস নেয়া হয় এটা মানুষ মারতে চাচ্ছে না এবং অসচেতনতার কারণে মানুষ মাক্স পড়ছে না, যার ফলে আমাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। আমাদের দেশের প্রতিটি জেলায় পিসিআর এর ব্যবস্থা করার জন্য সরকার থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং সেখানে আমাদের টেস্টের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে , আমাদের আরেকটু সচেতন হয়ে সংক্রমণ বাড়ছে কিনা সেটা নিরূপণের জন্য টেস্টের সংখ্যা আরো বাড়ানো দরকার। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা নেওয়ার জন্য অলরেডি সিদ্ধান্ত হয়েছে, বর্তমানে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে হাজার কোটি টাকা ফিক্সট করে রেখেছেন ভ্যাকসিন এর জন্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ভ্যাকসিনের জন্য বিরাট ভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে ভ্যাকসিন ভালো হয়।