বেগম পাড়ার সাহেব, সম্পাদকীয় সময় ২২০০ ঘটিকা ২৫ নভেম্বর ২০২০
2020-11-25 22:00:00
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সঃ
(২২:০৩:৩৭) এই চোরগুলো সৃষ্টি করলো কারা? গত ১২ বছরে একটু একটু করে চোর সৃষ্টি হয়েছে। একজন বা দুইজন করে সৃষ্টি হয় কিন্তু আজকে হাজার হাজার চোরে পরিণত হয়েছে। চোর তৈরীর পরিবেশ সৃষ্টি করলো কারা বা রাজনৈতিক পরিবেশ দিয়ে তাদেরকে সুরক্ষা দিয়েছে কারা? এটা দেখতে হবে। আজকে যখন এ কথাগুলো গণমাধ্যমে আসছে তখন সরকার এদেরকে ধরার জন্য উঠেপড়ে লাগে। একজন বা দুইজন চুনোপুটিকে ধরে বলে আমরা চোর ধরে ফেলেছি কিন্তু এর আড়ালে বড় বড় চোররা যে পার পেয়ে যাচ্ছে, এটা কে বলবে (২২:০৪:১৫)। (২২:৩২:৩৬) আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী যারা কিছুদিন আগে মারা গেছেন বলা হয় খুব সৎ মন্ত্রী বা নেতা, তাদের তো নিউইয়র্কে বড় বড় অ্যাপার্টমেন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে এমনকি ছবিও বের হয়েছে (২২:৩২:৪৯)।
এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরঃ
চোরকে আমরা চোর হিসেবে দেখি কিন্তু তাকে তার রাজনৈতিক পরিচয়ে দেখিনা। কানাডায় যে বেগমপাড়া সেটা তো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি বরং বিএনপির আমল থেকেই হয়ে আসছিলো। আবার বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। সেই অর্থ বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে কিন্তু দেশের অর্থ পাচারের সাথে বেগম জিয়ার মন্ত্রী-এমপিরাই জরিত সুতরাং তাদের মুখে এ কথা মানায় না।
এম মঞ্জুরুল ইসলামঃ
কানাডায় যে বেগমপাড়া আছে সেগুলো অনেকেই জানতো কিন্তু এর আগে গণমাধ্যমে এ রকমভাবে প্রকাশ পায়নি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে সরকার এই বিষয়টি আমলে নিয়েছেন এবং এর একটা সমাধান করার চেষ্টা করছেন। সব সরকারই কানাডার বেগম পাড়া সম্পর্কে জানত কিন্তু বিষয়টি কেউ আমলে নেয়নি। বর্তমান সরকারকে আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই কারণ তারা বিষয়টিকে আমলে নিয়েছে। নিউইয়র্কে এক সময় এক বেড রুমের বাসা ১০১২ ডলারে পাওয়া যেত কিন্তু সেটি এখন ২০০০ ডলার হয়ে গেছে এর কারণ বাঙালিরা অনেকেই সেখানে গিয়ে বাসা ভাড়া করে বাসার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।