রাজনীতির কড়চা, জনতন্ত্র গণতন্ত্র নিউজ ২৪ ২০০০ ঘটিকা ২৫ নভেম্বর ২০২০
2020-11-25 20:00:00
জয়নুল আবদিন ফারুকঃ
(২০:০৫:২১) আজকে দুর্বল প্রশাসন বা দুর্বল নির্বাচন কমিশনের কারণে যদি আজকে দুর্বল নির্বাচন কমিশন না হতো দেশের এরকম নির্বাচন কোনদিন অনুষ্ঠিত হত না। কথা প্রসঙ্গে আসল দল ও বিরোধী দল ১৪ সালে তো আপনারা নির্বাচনে আসেননি, কি করে আসবো? তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন হয় না এবং সরকারি দলের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না এদেশে (২০:০৫:৪৬)। (২০:০৬:২২) একটা পক্ষ অবলম্বন করে প্রশাসন চলছে বলে আমি ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় মনে করি (২০:০৬:২৭)। (২০:০৭:৫৪) বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের যে করুণ অবস্থা রাজনীতি নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে, নির্বাচন কমিশন নিয়ে, বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে যে অবস্থা সে অবস্থাগুলো আমার মনে হয় ফিরোজ ভাই এবং শহিদ ভাই, উপাদক্ষ আব্দুস শহিদ আমার সাথে একমত হবেন যে রাজনীতি যদি সরকার দিতে পারতেন, যদি সত্যিকার অর্থে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের পরে একটা সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে আমি ৫ সিট পেতাম আমার কোন আপত্তি ছিলো না (২০:০৮:২১)।
অ্যাড. কাজী ফিরোজ রশীদঃ
জয়নুল আবদিন ফারুক তিনি ৬ বার মেম্বর অব পার্লামেন্ট হয়েছেন, জনগণ ভোট দিয়ে তাকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন, তার মুখ থেকে এসব কথা শোনা আসলেই খুব হতাশাজনক। বঙ্গবন্ধু তিনি কিন্তু আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং তার কাছে আমরা সবাই কৃতজ্ঞ। শহীদুল ইসলাম যেটা বললেন আওয়ামী লীগকে কিন্তু রাজনীতির পাতা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো, এই যে গ্রেনেড হামলা এটাকে কিন্তু কোন সভ্য সমাজ, কোন ব্যক্তি সমর্থণ করতে পারে না। এখানে আল্লাহ এর অশেষ রহমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেঁচে গিয়েছিলেন, তাকে মারার জন্যই কিন্তু এই হামলাটি করা হয়েছিলো।এর জন্য একটি বিচারও হয়েছিলো কিন্তু এরপরে আওয়ামী লীগ এসে সেই মামলাকে রিব্যাক করার পরে এই ঘটনার সত্যি কাহিনী বেরিয়ে আসলো। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে মানুষের খাদ্যের খুব অভাব ছিলো কিন্তু সবথেকে ভালো কথা হচ্ছে এখন আমাদের ১৭ কোটি মানুষ দেশে কিন্তু কেউ না খেয়ে নেই, খাদ্যের ক্ষেত্রে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
শেখ শহীদুল ইসলামঃ
গ্রিক দার্শনিক প্লেট একটা কথা বলেছেন এই যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের সৃষ্টি এটাই হলো একটি রাজনীতি, রাজনীতি ছাড়া রাষ্ট্রের সৃষ্টিও হয়নি। অতএব যেখানে রাষ্ট্র থাকবে সেখানে রাজনীতিও থাকবে এবং সেই রাজনীতির বিভিন্ন রকমের প্যাটার্ন আমরা পৃথিবীতে দেখতে পাই। আমাদের দেশের জনগণ গণতন্ত্রকামী জনগণ, তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করেন। আমরা সকলেই জানি ১৯৭০ সালে আমাদের গণতান্ত্রিক রায়কে পাকিস্তানিরা মেনে না নেয়ার কারণেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমরা অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছি, বিশেষ করে কয়েক বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অর্থনীতির ক্ষেত্রে এগিয়েছি। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে আমাদের দেশে পাকিস্তানের একটা ইনহারেন্ট পার্ট সামরিক তন্ত্র আমাদের দেশে মাথা চেপে উঠেছিলো। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানীকরণ এই কাজটি আমাদের দেশে সম্পন্ন হয়নি কারণ আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলো বিরোধী দলকে প্রতিপক্ষ না ভেবে শত্রু ভাবে, যার ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যার করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল।