সংবাদ সম্প্রসারণ ডিবিসি নিউজ ২০০০ ঘটিকা ২৩ নভেম্বর ২০২০
2020-11-23 20:00:00
অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানঃ
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা থেকে আমাদের কিন্তু বারবার বলা হচ্ছে যে মাস্ক হলো বিকল্প ভ্যাকসিন। আমরা যদি সবাই মাস্ক ব্যবহার করি এবং এক মিটারের মতো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি তবে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাওয়ার হার কিন্তু প্রায় শূন্য শতাংশ। এই বিষয়গুলো বৈজ্ঞান ভিত্তিক পরীক্ষিত তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদের মেনে চলা উচিত। এজন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সচেতন থাকতে বলেছেন এবং মাস্ক ব্যবহার এ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে কাজ করছেন তার জন্য আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে জরিমানার পরিমাণ সেটাকে বৃদ্ধি না করে মনিটরিংয়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা উচিত। এছাড়াও সর্কার হত দরিদ্রদের মধ্যে যেভাবে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। এটা যদি অব্যাহত থাকে এবং আমরা যদি নিজেদের দায়িত্বে সবাই মাস্ক ব্যবহার করি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি তবেই হয়তো করোনার প্রভাব কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব।
শওকত মাহমুদঃ
মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জরিমানা করে বাংলাদেশের মানুষকে মাস্ক পড়াতে বাধ্য করা যাবে না। জনগণকে মাস্ক ব্যবহারের উদ্বুদ্ধ করাটাই হল সবচেয়ে বড় ব্যাপার। করোনার প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যতটা সচেতন ছিল আস্তে আস্তে তার ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দের দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় জরিমানা করা সেটা মনে হয় আসলে ঠিক হচ্ছে না। সাধারণ জনগণ ও সরকারের কথায় তেমন কর্ণপাত করছে না। মানুষের রুটি-রুজির তাগিদটা এমন হয়ে গেছে যে তাকে রাস্তায় নামতে হচ্ছে এবং রুটি রুজির যোগাড় করতে হচ্ছে। টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনার সময়ে বাংলাদেশের যথেষ্ট পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে। এমনকি করোনার সময় করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট ও বিক্রয় হয়েছে। সরকার এই দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবেলার জন্য প্রথম ধাক্কার অভিজ্ঞতা কিভাবে কাজে লাগাচ্ছে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।
ভারতের থেকে চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্যিক পরিধি অনেক আগেই বেড়ে গেছে৷ চীন থেকে প্রচুর পরিমাণ পণ্য আমাদের দেশে আমদানি হচ্ছে এবং ভারতের সাথে যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আমাদের ছিল সেটা কমে আসছে। তবে ভারত থেকে বেশ কিছু পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেই দিক থেকে ভারত এগিয়ে আছে। গোল্ডেন মনিরের নামে প্রায় ৯৩০ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা আছে সেই ক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্স ও বাংলাদেশ ব্যাংক কি করছে? সেটা আমাদের দেখতে হবে। এতগুলো টাকা অবশ্যই দুর্নীতির টাকা সেগুলো যে ব্যাংকে রাখা যায় সেটাই তো আমার কাছে অবাক লাগছে।
অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়াঃ
করোনা মোকাবেলায় শুধুমাত্র যে বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে সেটা কিন্তু নয় সারা পৃথিবী হিমশিম খেয়েছে। প্রত্যেকটি দেশই করোনার প্রাথমিক পর্যায় থেকে অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেছে। তবে সেই অভিজ্ঞতা টা কে কিভাবে কাজে লাগায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। সরকার প্রাথমিক অবস্থায় জনগণকে সচেতন করার অনেক চেষ্টা করেছে তার পরেই তারা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। আজকেও তো প্রতিবেদনে দেখলাম যে বিনামূল্যে সবার মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। তারপরেও যদি মানুষ কর্ণপাত না করে তাহলে তো তাকে শাস্তি দেয়াই যায়। তবে এখন যদি বলি জরিমানা করা যাবে না এবং তারপর যদি করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় তখন কিন্তু আমরা আবার সরকারকেই দোষারোপ করবো। তখন আমরাই বলবো যে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। সেই কারণেই সরকারের প্রচার-প্রচারণা সহ বিনামূল্যে মাক্স বিতরণ এবং জরিমানা সকল কার্যক্রম সম্মিলিতভাবে চালিয়ে যেতে হবে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে মূল কথা হচ্ছে সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়। সেই নীতির ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক মোটেও খারাপ নয়। গোল্ডেন মনিরের মত লোকেরা সব সময় একটি ছত্রছায়ায় থাকে এবং সেই ছত্রছায়ায় থেকে তারা চেষ্টা করে কিভাবে দুর্নীতি করা যায়।