নিউজ এন্ড ভিউজ বাংলাভিশন ০০০১ ঘটিকা ২৩ নভেম্বর ২০২০
2020-11-23 00:01:00
মনজুরুল আহসান বুলবুলঃ
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাস্তবতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমস্ত সংগঠনগুলো আমাদের পক্ষে আছে, আমাদের যেকোন সিদ্ধান্তের বেলায় তাদের সমর্থন দরকার আমরা দুটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে পারবোনা, বাংলাদেশকে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তবতার সামনে রেখে। আমার ধারণা সমস্যার সমাধান করতে হবে ভাসানচরতো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সেখানে গিয়েছে, তারা জায়গা দেখেছে এবং রোহিঙ্গাদের প্রথম দল সেখানে গিয়েছে, এখন যতই দিন যাবে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এরকম দল, উপদল বাড়বে, জাতীয় আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি বাড়বে, তোদের ফোনের কানেকশন আছে, ইন্টারনেট কানেকশন আছে নানানভাবে নানান জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে, পাকিস্তান যেমন আফগান শরণার্থী নিয়ে বিপদে পড়েছে আমরাও এরকম একটি বিপদে পড়েছি। মায়ানমারের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বহুবার বলেছেন এটা নিয়ে যুদ্ধ করা যাবে না এবং নানা উস্কানির মধ্যে পা দেয়া যাবে না, আমার ধারণা তিনি পৃথিবীর পালসটা বুঝেন, বিশেষ করে চীন যদি উদ্যোগী না হন তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। করোনা নিয়ে সারা পৃথিবীতে যে অবস্থা আমরা তার চেয়ে খুব পিছিয়ে আছি তা কিন্তু না, সারা পৃথিবী অগোছালোভাবে শুরু করেছিল আমরাও অগোছালোভাবে শুরু করেছিল, ভারত তো এখনো অচল এবং আমার ধারণা আগের চেয়ে আমাদের ডাক্তারদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা মাক্স পড়ছি না তাদেরকে সচেতন হতে হবে।
নূর খানঃ
সমস্যাটা কিন্তু মায়ানমার এবং রোহিঙ্গাদের, মায়ানমারের নাগরিককে মায়ানমার অস্বীকার করছে, আমরা মানবিকতার জায়গাটা আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব তার চেয়ে বেশি করা হয়েছে। আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাদের ভাসানচরে পাঠাবেন, আসলে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি আমরা যাদের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের কাছে এই মেসেজটা ঠিকমত তুলে ধরতে পেরেছি কিনা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এখানে প্রধান বাধা আমার কাছে সেটা মনে হয় না, আসলে রোহিঙ্গারা দূরে যেতে চায়না, তারা মনে করছে ভাসানচর পুরো বিচ্ছিন্ন। আমাদের নেতৃবৃন্দ বা যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা যাদের আছে তাদের মাঝে মাঝে বক্তৃতা বিবৃতি গুলি আমার কাছে মনে হয়েছে যে এটি ঘটনার আগের হয়ে যাচ্ছে সবকিছু অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের সাথে কোনরকম আলাপ-আলোচনা বাদ রেখে আপনি যদি এভাবে চিন্তা করেন যে আমি একটা পরিবেশ তৈরি করব, সেই পরিবেশের কারণে তারা যাবে তাহলে ভুল করবেন। আমাদের যারা সাধারন মানুষ আছেন সেখানে সচেতনতা কাজ করতে হবে এবং সমাজে এখন পর্যন্ত যে অবস্থা বিরাজ করছে সেখানে মানুষ আপনার আপনি সচেতন হয়ে যাবে, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলবে, মার্কস পড়বে এরকম না কিন্তু কোন কোন জেলায় প্রশাসনিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যে মাক্স ব্যবহার না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, আমি মনে করি প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য অংশকে এই কাজটার সাথে যুক্ত করা।
ডা. লেলিন চৌধুরীঃ
বাংলাদেশ গত ৮ই মার্চ করোনার প্রথম সংক্রমণ শুরু হয় যেটাকে আমরা দ্বিতীয় ঢেউ বলবো কিন্তু আমরা এই প্রথম ঢেউটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, যখন শনাক্তের সংখ্যাটি ৫% কমে চলে আসবে প্রতিদিন এবং একনাগাড়ে তিন সপ্তাহ এটি থাকবে, আমরা প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, এখন যেটা হচ্ছে প্রথম ঢেউয়ের সংক্রমণ টা ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে অতএব রোগ তত্ত্বীয়ভাবে এটাকে দ্বিতীয় ঢেউ বলা বা অভিহিত করার কোন জায়গা নেই।
আমাদের সামনে যে সংক্রমণ টা বাজছে এটাকে আমরা কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে বলে দিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তাহলে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। করোনা টেস্টের পরিধি বাড়ানো, আমরা এখনো জানি সরকারি যে আউট টেপগুলো যেখানে করোনা টেস্ট করা হয় সেখানে নমুনা দেওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই দিন সময় লাগে এবং রিপোর্ট পেতে এখনো ৩ থেকে ৬ দিন সময় লাগে, এই ভোগান্তির কারণেই কিন্তু অধিকাংশ মানুষ টেস্ট করতে আগ্রহী হয় না। এই ভ্যাকসিন তৈরি করে আসতে আসতে মানুষের শরীরে যখন দেয়া শুরু হবে, এরমধ্যে করোনাভাইরাসটি তার স্ট্রেঞ্জ করে এই ভ্যাকসিন গুলোর অধিকাংশ অকেজো হয়ে যাবে, এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে এখন বলা হচ্ছে মাক্স পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, এই জায়গাতে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, অবশ্যই আমরা ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য আমাদের প্রয়াসকে নিবেদিত রাখবো।