আওয়ার ডেমোক্রেসি আরটিভি ২৩৩০ ঘটিকা ২২ নভেম্বর ২০২০
2020-11-22 23:30:00
মোঃ মঈদুল ইসলামঃ
বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন মাঝে মধ্যে কিছু ফাঁদ পাতে, যার মধ্যে দেখা যায় ছোট কিছু দুর্নীতি এই ফাঁদের মধ্যে আটকা পড়ে এবং এর বাইরে কিছু ধরা পড়ে না দুদকের হাতে। যিনি অনৈতিক কোনো সুবিধা নিতে চান তিনি সরকারি অফিসে গিয়ে ঘুষ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে যান, এই অভ্যাস যখন হয়ে যায় তখন সে নৈতিক আর অনৈতিক কোনো ব্যাপার নয়, সব সময়ই তার হাত পাতাটা অভ্যাস হয়ে যায়। (২৩:৫১:৩৫) এটা একেবারে নিচে থেকে উপর পর্যন্ত এই সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, এই জায়গাটাকে আটকানোর জন্যে আমাদের একটি ব্যবস্থা আইনগতভাবে আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগটি সেইভাবে দীর্ঘকাল থেকেই হচ্ছে না এবং এখনও হচ্ছে না। আমাদের ছোটগুলো নয়, বড় বড় যে আছে , ইন্টারন্যাশনাল যে কাজ কারবার গুলো আমাদের দেশে আছে সেগুলোর ব্যাপারে বেশ কয়েকটা দুদকের মামালাও আছে, সেগুলো চলছে কিন্তু তারপরেও এগুলোকে যেভাবে দমন করার দরকার সেভাবে হচ্ছে না (২৩:৫২:১৮)। (০০:০৬:০৯) আমাদের দেশে জনদুর্ভোগ প্রত্যেকটা জায়গায় আছে এবং এই জনদুর্ভোগের মূল কারণটা কি? কারণটা হচ্ছে, প্রত্যেকটা কাজের তদারকি করার জন্য তো একটা সরকারি দপ্তর আছে, যেমন রাস্তার কাজ যে দপ্তর করাচ্ছে সেটা দেখবে যে কাজটা ভালো মানের হচ্ছে কি না কিন্তু এই তদারকি যার করার দরকার সে তা করছে না, কারণ এই ঘুষ। সুতরাং সেখানে ওই সরকারি কর্মকর্তা তো জড়িত আছে। রাস্তায় যে একটা দোকান বসছে কিংবা রাস্তার উপরে অন্য কিছু রেখে দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে সেটার পিছনেও যার দেখবার দায়িত্ব তিনি চোখ বন্ধ করে আছেন টাকার ধুলোয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের কিন্তু এই জায়গায় যাওয়ার সুযোগ আছে, যেতে পারে, গেলেই এটা হয় কিন্তু তারা যায় না (০০:০৬:৫৮)।
আবু সাঈদ খানঃ
(২৩:৩৯:০০) এটা যেন সিস্টেমের অংশ হয়েগেছে যে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয়না, ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না, ঘুষ ছাড়া কিছুই হয়না এখানে। ঘুষ আমাদের এখন সংস্কৃতির অংশ এবং ঘুষের বদৌলতে এখন সবাই অপরাধ করে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে আবার ঘুষের কারণেই হয়তো জাহান্নাম আবু সালেক হয়ে জেল খাটে, আর আবু সালেক ফুর্তি করে ঘুড়ে বেড়ায়, হাওয়া খায়। এই বাস্তবতা থেকে উত্তোরণের জন্য আইন আছে যথেষ্ট কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই (২৩:৩৯:৪১)। এই ঘুষের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন ব্যাপার, এর শুরু জায়গাটা হচ্ছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জিরো টলারেন্স, জিরো টলারেন্স উনি বলেছেন কিন্তু এর বাস্তবায়নটা খুব জরুরি।
জাকারিয়া কাজলঃ
একটা প্রবাদ আছে যে, অভাবে স্বভাব নষ্ট এটা এখন আর নেই, এখন স্বভাবে স্বভাব নষ্ট হচ্ছে। এখন সরকারি কর্মচারীদের বেতন যে পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছে, ধারণা ছিল যে টাকা পয়সা বাড়ালে হয়তো তারা এগুলো করবে না কিন্তু এই করোনার সময় দেখেন, একমাত্র সরকারি কর্মচারী ছাড়া আর কারো কিন্তু আয় রোজগার আগের মতো নেই। মাত্র একজন বললো যে তাকে ছাড়পত্র নিতে প্রতিটি জায়গায় ঘুষ দিতে হয়। যদি প্রতিটা বিভাগে ওয়ানস্টপ সার্ভিস করা যায়, সবাই একছাদের নিচে থাকে তাহলে চক্ষু লজ্জার জন্য হলেও ঘুষ নেয়াটা কমে যাবে।