সংবাদ সম্প্রসারণ ডিবিসি নিউজ ২০০০ ঘটিকা ২২ নভেম্বর ২০২০
2020-11-22 20:00:00
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদঃ
গোল্ডেন মনির তো যুবদল নেতা। তবে আমাদের দেশে পাঁচ বছর যাবত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছেন। নিশ্চয়ই গোল্ডেন মনিরকে এমন কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করেছে যার কারণে তিনি এই ধরনের কাজ করতে পেরেছেন। গোল্ডেন মনিরের তো এই ১২ বছর যাবত কোন ক্ষমতা ছিলনা তার পরেও তিনি কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। সরকারের ইন্টেলিজেন্স এ যারা রয়েছে তারা কিন্তু এই ধরনের অপরাধীদেরকে চেনেন তবে তারা কেন ধরে না সেটা আমার জানা নেই। কি এমন ঘটনা ঘটল যে এতদিন পরে তাকে হঠাৎ করে গ্রেপ্তার করতে হলো৷ অবশ্যই এই বিষয়গুলো এখন তদন্ত করে বের করা উচিত। এত বড় টাইটেল বাজ স্মাগলার কিভাবে এতদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করলো। পিকে হালদার যখন দুর্নীতি করেছিল তখন সেটা নিয়ে অনেক মিটিং-মিছিল হয়েছিল৷ তারপরে সে যখন বিদেশে পালিয়ে গেল তারপরে আবার নতুন মিটিং মিছিল হল যে তাকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে তিনি যখন দেশে ছিলেন তখন তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো না।
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানঃ
গোল্ডেন মনির একসময় যুবদল করতো এটা ভেবে যারা তাঁকে গ্রেপ্তার করছে তারা যদি কোনো সুযোগ-সুবিধা নিতে চায়। এমনকি যারা ক্ষমতাসীন আছে তারাও যদি কোনো সুযোগ-সুবিধা নিতে চায় যে সে যুবদল করতো। তবে সেটা একটি বাজে উদাহরণ হবে। রিয়াজ ভাই ভালো কথাই বলছেন যে ১২ বছর ধরে তো একটি দল ক্ষমতায় তারপরেও এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো। ক্ষমতা বলতে আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতা কে বুঝি তবে এই ক্ষমতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হলো আর্থিক ক্ষমতা। তাই এইসব অপরাধীরা ক্ষমতায় যারা থাকেন তাদের মধ্য থেকে দুর্নীতিবাজ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক লোকদের খুঁজে অর্থের লোভ দেখিয়ে সমাজে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যান।
রাজউকের প্রধান আজকেও বললো যে এই বিষয়গুলো সে তদন্ত করে দেখবেন৷ আরে ভাই এখানে তদন্তের কি আছে তার নামে যদি ২০০ প্লট থাকে তো তার নামে একটি প্লট রেখেই ১৯৯ টা বাতিল করে দেয়া যায়। এই ব্যাপারটির সাথে অবশ্যই রাজউকের একটি চক্র জড়িত আছে। এই ধরনের অপরাধীরা তাদের আর্থিক ক্ষমতা ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে। যারা দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন তাদের আমরা এত খুশি কেন যারা দেশে এখনো থেকে দুর্নীতি করছে তাদের ধরলেও তো একটা ব্যবস্থা হয়।
অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হকঃ
গোল্ডেন মনির ২০০ প্লটের মালিক কোনোভাবেই হতে পারে না। এই ব্যাপারটার সাথে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশন এসে প্লট জালিয়াতির মামলা করতে পারবেন এবং রাজউকের যেসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নিতে পারবেন এই ব্যাপারে আইন তেমন জটিল নয়৷ যেহেতু তার নাম গোল্ডেন মনির দেয়া হয়েছে অবশ্যই সে সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত এবং সেখানেও বিমানবন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা তার সাথে জড়িত রয়েছে৷ এমনকি তার অবৈধ সম্পদ লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে যদি ব্যাংকের কোন যোগাযোগ থাকে তবে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও এই আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে। তাকে যে ধরা হয়েছে সেই ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই। পিকে হালদার থেকে শুরু করে প্রায় ১০০ জন ভিভিআইপি দেশে দুর্নীতি করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।