একাত্তর সংযোগ একাত্তর টিভি ২০০০ ঘটিকা ২২ নভেম্বর ২০২০
2020-11-22 20:00:00
অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হকঃ
যে পরিসংখ্যানটা আমাদের কাছে থাকা উচিত ছিল সেই প্রকৃত পরিসংখ্যান আজ পর্যন্ত পায়নি এবং পাচ্ছি না। এখন যারা বিদেশে যাচ্ছে তারা কিন্তু করোনা টেস্ট করছে এবং তাদের মধ্য থেকে আমরা আক্রান্তের সংখ্যা নির্ধারণ করছি আসলে কিন্তু সেটা নয়। আমরা যদি প্রতিটি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নের মানুষকে সংযুক্ত করতাম তাহলে করোনা সংক্রমণ অনেক কম হতো মানুষ সচেতন হতো কিন্তু আমরা সেটা করিনি। মাস্ক না পড়লে যে জেল জরিমানা এটা প্রথম থেকেই করা দরকার ছিল তাহলে আমরা আরো বেশি সচেতন হতে পারতাম। সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু সিদ্ধান্তের বেলায়ও সরকারকে মনে রাখতে হবে এটা একটা দক্ষতার বিষয় পাশাপাশি আছে যে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
ডা. এম ইকবাল আর্সলানঃ
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছে যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য এবং মাস্ক পড়ার জন্য। আমাদের অসচেতনতা কিন্তু ১৫ দিন আগে বলেন বা এক সপ্তাহ আগে বলেন একই আছে কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যে নয়মাস সময় পেলাম এবং এই সময়ে যেভাবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা যেভাবে পাচ্ছিলাম ঠিক সেইভাবে আমরা কিছু করতে পেরেছি সেই তুলনায় আমি মনেকরি যে পারিনি। পরিকল্পনাতো কাগজে কলমে হয় আর বাস্তবায়ন হচ্ছে যে আমরা যেটা দেখি সেটা, হয়তো পরিকল্পনা আছে কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়তো নেই বা কত দ্রুত সময়ে হবে তার উপরে নির্ভর করবে পরিস্থিতি।
ডা. মোঃ মুরাদ হাসানঃ
করোনা ভাইরাস আমাদের দেশে যখন শুরু হলো তখন থেকেই সব ধরণের সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সরকারের তরফ থেকে আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য অধিদপ্তর প্রচারণা করেছে। মাঝে অনেক সংক্রমণ কিন্তু কমেছিল এবং মৃত্যুহারও কমেছিল যা পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় তুলনামূলক ভালো ছিল কিন্তু আমরা সম্প্রতি দেখছি যে এই সংক্রমণের হার বেড়েছে। শতাধিক ডাক্তার করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে কিন্তু আমরা সঠিকভাবে সুরক্ষা সামগ্রি দিতে পারেনি এবং তাদের যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করার প্রয়োজন ছিল সেই জায়গাগুলোতে আমার মনে হয় কিছু ঘাটতি আছে। আমি মনেকরি যে সকল পেশার মানুষদেরকে যারা নেতৃত্ব করে তাদেরকে মাঠে এই ব্যাপারে মাঠে নামনো উচিত এবং যারা স্বাস্থ্যবিধি না মানবে তাদের ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ করা উচিত।