জামিন আবেদন এবং রাজনীতি, সম্পাদকীয় সময়২২০০ ঘটিকা ১৪ নভেম্বর ১৯
2019-11-14 22:00:00
আমিনুল ইসলাম আমিনঃ
বেগম জিয়ার বিষয় রাজনৈতিক ইস্যু নয়, ওনার বিষয় আইনী ইস্যু। ২১শে আগস্ট আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দৃষ্টান্ত। আমাদের অভিযান এখনো থেমে যায়নি, সামনে সারাদেশে চলবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি সমর্থন করি না।
রুমিন ফারহানাঃ
অতীতেও বেগম জিয়ার জামিনের কথা আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলতে শুনেছি, সরকারের এই ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। আমাদের এ্যাটর্নী জেনারেল রাষ্ট্রের পক্ষে যতটা না দাঁড়ান তার থেকে বেশী বিপক্ষে দাঁড়ান আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে। সরকারের একটা খারাপ ইচ্ছা আছে যার কারণে আমাদের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আজ কারাগারে। নুসরাত, আবরার হত্যার বিচার হতে আমরা দেখছি কিন্তু তনু, মিতু, সাগ-রুনি হত্যার বিচার আমরা দেখছিনা কেন? বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, বাংলাদেশে যেভাবে আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এরকম নজীর বিশ্বে নেই। সরকারে থাকলে ঢাকাকে ভেনিস বা প্যারিস মনে হবে, কারণ সরকারে থাকলে চোখে রঙ্গিন চশমা থাকে। গত ১ বছরে ৪৪৬ জনকে বিভিন্ন অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড করা হয়েছে, গত ১০ বছরে ৫৫৬ জন গুমের শিকার হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের এসপিকে আইনের আওতায় এখনো আনা হয়নি, তাকে শুধু বদলী করা হয়েছে। সরিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি ঠিক বুঝিনা, শোভন-রাব্বানীকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিচারের আওতায় কেন আনা হয়না?
শামীম হায়দার পাটোয়ারীঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যেয়ে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন, ঠিক তখন বিএনপির কিছু নেতা ব্যতিক্রম মন্তব্য করেন যা প্রধানমন্ত্রীর জন্য লজ্জার, বিএনপির জন্যেও সেটা লজ্জার। আলোচনা এবং আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন না। সবকিছুর বিনিময়ে বেগম জিয়ার মুক্তির কথা ভাবা উচিত বিএনপির, সরকারেরও উচিৎ এই বিষয়ে নমনীয় হওয়া।