সমসাময়িক বিষয়, তৃতীয় মাত্রা চ্যানেল আই ০১০০ ঘটিকা ২০ অক্টোবর ১৯
2019-10-20 01:05:00
অজয় দাশগুপ্তঃ
সব জায়গায় দলীয়করণের জায়গাটিতে আরো বেশী সজাগ হতে হবে। শুদ্ধি অভিযানের নামে যেটা করা হচ্ছে সেটা এতো দেরিতে করা হচ্ছে কেন? ঢাকা শহরে এতো মানুষ অথচ কেউ জানতো না যে, এখানে কি হচ্ছে? পৃথিবীর কোথাও তো ক্যাসিনো অবৈধ কোন ব্যবসা না। বিদেশে ক্যাসিনো খেলায় হেরে বাংলাদেশের মানুষ হাসতে হাসতে ফিরে আসছেন, এই টাকা কোথায় থেকে আসছে? বাংলাদেশে এখন টাকাটা হচ্ছে বিষ। র্যাগিং এর মতো এই হিংস্রতা তো একদিনে তৈরি হয় নি। মেধাবীরা বুয়েটে অন্যায়গুলো করেছে কেন? গডফাদার এবং রাজনীতির কারণে। ইস্যু ভিত্তিক দেশ তৈরি হয়েছে, রিজার্ভ চুরি হয়ে যাওয়ার ইস্যু যদি হজম হয়ে যায় তাহলে আবরার হত্যার এই ইস্যুটিও হজম হয়ে যাবে। বিএনপি অদৃশ্য দল কিন্তু শক্তিশালী, তা নাহলে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নিয়ে এতো আলোচনা করে কেন? একজন ভিসি কি করে বলতে পারেন যে, তিনি যুবলীগে চেয়ারম্যানের পদ পেলে ভিসি’র পদ ছেড়ে দিবেন তাহলে তার কাছে অন্য দলের ছাত্ররা নিরাপদ থাকবে কি করে? আমার কাছে এই দেশের ভিসিগুলোকে এতিমের মতো মনে হয়েছে।
মোঃ গোলাম মাওলা রনিঃ
মতিঝিলের মতো জায়গায় একাধিক ক্লাবে ক্যাসিনো চললো কিন্তু কেউ সেটা দেখে নাই! এদের টাকা এতোবেশী হয়ে গেছে যে, সেই টাকা জুয়া খেলা ছাড়া আর অন্য কোন উপায়ে খরচ করার উপায় নাই। সম্রাট কে ধরার আগের দিন পর্যন্ত তার একটা পশম স্পর্শ করার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারো ছিলো না, এগুলো ওপেন সিক্রেট ছিল। ক্যাসিনোর টাকা সম্রাটের মতো-
নেতারা মাত্র ১০-২০ ভাগ ভোগ করতে পেরেছে এবং বাকী ৮০ ভাগই তারা তাদের গডফাদারকে দিয়েছে, গড মাদারকে দিয়েছে, গড ভাইদেরকে দিয়েছে। আমি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের মধ্যে এক ধরণের শঙ্কা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের দেশে যারা শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ভিসি হতে চায় তাদেরকে ভিসি বনানো হয় না, ছাত্রদের মধ্যে থেকে যারা শিক্ষক হতে চায় তাদেরকে শিক্ষক বানানো হয় না বরং ছাত্রদের মধ্যে থেকে যারা গুন্ডা বদমাইস হতে পারে তাদেরকে রাষ্ট্রের ক্রিটিক্যাল ও সেনসেটিভ পোস্টগুলোতে ক্যাডার নিয়োগ করা হয়। একটা বালিশের দাম যদি হয় ৩৭ হাজার টাকা, একটি বৈদ্যুতিক বাল্বের দাম যদি হয় ৬০ হাজার তাহলে লোভটা কোন পর্যায়ে গেছে। গত ১৫ দিনে শেয়ারবাজার থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা লস হয়ে গেছে, ব্যাংকের ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না, গত ১২ বছরে সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে যা বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোতে আছে। এই জালিয়াতির যারা হোতা তাদেরকে আমাদের চোখের সামনে পর্বত হিসেবে রেখে পর্বতের নীচের যে আগাছা, অভিযানের নামে সেই আগাছায় বাতাস দেয়া হচ্ছে।