নিউজ আওয়ার এক্সট্রা,এটিএন নিউজ ২১৩০ ঘটিকা ২৪ মে ২০২২
2022-05-24 21:30:00
আবদুর রহিম হারমাছিঃ
বিশ্ববাজারে এখন অস্থির একটি অবস্থা বিরাজমান করছে। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি একটি নতুন সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বেই সংকট তৈরি হয়েছে। যুদ্ধের কারণে সব দেশেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যুদ্ধের শুরু হওয়ার পরেই জ্বালানি তেলের দাম ১৩৯ ডলারে চলে গিয়েছিল। বর্তমানে জ্বালানি তেল ১১২ ডলারে অবস্থান করছে। বিশেষ করে জাহাজ বাড়াও দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। জ্বালানি তেলের প্রভাব পড়ছে প্রতিটি খাদ্য ক্ষেত্রে। বিশেষ করে যে দেশগুলো পণ্য আমদানি করে তাদের উপর বেশি প্রভাব পড়ছে।
আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজঃ
বাংলাদেশ কৃষির কারণে অর্থাৎ আমাদের কৃষকের এবং সরকারের কিছু পদক্ষেপের কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা একটু স্বস্তিতে আছি। সরকার সতর্কতার সাথে কাজ করার চেষ্টা করছে। আমাদের কিন্তু তুলা ইমপোর্ট করতে হয়। তুলার সাথে কেমিক্যাল ইমপোর্ট করতে হয়। কেমিক্যাল যেটা ছিল ১০০ ডলার পার টন, এখন হয়েছে ২৫০ ডলার পার টন।
মো. হেলাল উদ্দিনঃ
গত ১৫ দিন আগেও খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ৯২ টাকা। বৈশ্বিক অর্থনীতির চাপের কারণে আমাদের ব্যবসায়ীরাও চাপের ভিতর পড়বে। ব্যবসায়ীরা এখন মুনাফার কথা চিন্তা করে না। দেশের অর্থনীতিকেও টিকিয়ে রাখতে হবে। সরকারের এখন সব প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিন্তু বলেছে পুরো বিশ্ব খাদ্য সংকটে পড়তে পারে। আমেরিকায় কিন্তু মূল্যস্ফীতি হয়েছে তাদের সমস্ত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলালঃ
দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে দাম বাড়লে বাড়তি একটা চাপ বাংলাদেশ পড়বে। বাজারে ঘাটতি দেখা দিলে আমদানি করতে যে পরিমাণ ব্যয় হয়েছে তার তুলনায় কিনতে গেলে আরো বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে। শ্রীলঙ্কায় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে এটা এক ধরনের সমস্যা। আর একটি সমস্যা হচ্ছে বেশি দাম দিয়েও মানুষ কিন্তু দ্রব্যমূল্য কিনতে পারছে না। বিশ্ববাজারে দাম পারলেও আমরা যে পণ্যগুলো আমদানি করে সেগুলো কিন্তু করতেই হবে। আভ্যন্তরীণ খরচ বৃদ্ধি পেয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। সামনে আমাদের একটা চাপ আসবে কিন্তু এই চাপটা কতদিন থাকবে সেটা নির্ভর করবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উপরে।