একাত্তর সংযোগ, একাত্তর টিভি ২০০০ ঘটিকা ২৪ মে ২০২২
2022-05-24 20:00:00
ব্রিগে. জেনা. মোঃ জোবায়দুর রহমানঃ
সরকারের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। বর্তমানে আমাদের দেশের জনসংখ্যার ৩৯ শতাংশ মানুষ নগরকেন্দ্রিক তালা শহরে বসবাস করে। যদি আমরা এই দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ধরি তাহলে শহরে বাস করছেন ৫ কোটির মতো মানুষ। এই নগরবাসীকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশনের এবং আমরা সেটা করে যাচ্ছি। আমরা ক্লিনিকগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করেছি সেখানে বস্তিবাসী বা যারা নিম্নশ্রেণির তারা এই সেবাটা পাচ্ছে। একটা সিজারিয়ান সেকশন করে তার ফুল প্যাকেজ ১০-১১ হাজার টাকা খরচ হয় নরমাল ডেলিভারি করতে খরচ হয় মাত্র এক হাজার টাকা।
চন্দন জেড গমেজঃ
ওয়ার্ল্ড ভিশন যে কাজ করে তার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা একটি। স্বাস্থ্যসেবায় যেটা আমরা করে থাকি কোন অসুস্থ রোগীকে শুধুমাত্র সুস্থতা দেয়ানা যাতে করে অসুস্থ না হয় সেজন্য প্রিভেন্টিভ কেয়ার অথবা প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য সচেতনতা বেশি আমরা দিয়ে থাকি আর কেউ অসুস্থ হলে আমরা রেফারেন্স সিস্টেমে কাজ করি। আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, বরিশাল, রংপুর এই শহর গুলোতে এখন কাজ করি এবং সেই কাজগুলো হয় মূলত অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর সাথে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে মডেলটা আছে এটা একটা যুগান্তকারী ইতিহাস কমিউনিটি ক্লিনিক।
মোঃ তাজুল ইসলামঃ
প্রাইমারি হেলথ কেয়ার এর উদ্দেশ্যটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান গুলোর নিকট হস্তান্তর করার পেছনে সারা পৃথিবীতে একটি মানসিকতা কাজ করে যে, সরকারকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলো থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে অফলোড করা। এই স্বাস্থ্যসেবা ছাড়া বহু সেবা আছে যেগুলো ডেডিকেটেড করা হয়েছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গুলোর নিকট। ১৯৯৬ সালে বর্তমানমাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি চিন্তা থেকে তিনি ৬ হাজার লোককে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য একটা ক্লিনিকের মডেল তিনি ডেভলপ করেছেন। নগদে কমিউনিটি ক্লিনিক নাই কিন্তু এখানে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ইনটেনসিভলি করার জন্য একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবকিছুর সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এটা বলা যাবে না কিন্তু এই ঘাটতিগুলো পূরণের জন্য কাজ করা হচ্ছে।
ডা. মুশতাক হোসেনঃ
আমাদের নগরের স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা কম। শুধুমাত্র দরিদ্র না একজন নিম্নবিত্ত বা উচ্চ আয়ের মানুষ তাদের জন্যও স্বাস্থ্য সেবা দোরগোড়ায় থাকা উচিত, বিশেষ করে ঢাকা মহানগরীতে সমস্ত সম্পদ এখানে জমা আছে। পুরো বিশ্বের সরকারগুলো ২০৩০ সাল এবং আমাদের সরকার ২০৩২ সাল নাগাদ সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলায় উদাহরণস্বরূপ পাইলট প্রকল্প ছিল সেটি গত বছরের বাজেট থেকে সমস্ত জেলায় বিস্তৃত হয়েছে। আধাঘন্টা ঘাম ঝরানো পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস হবে না এটা হচ্ছে স্বাস্থ্য উন্নয়ন।