একাত্তর সংযোগ একাত্তর টিভি ২০০০ ঘটিকা ২৭ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-27 20:00:00
মোঃ শাহ নেওয়াজঃ
আজকে আইনটা পাশ হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে খসড়া আসেনি। আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছিল যে এখন আইন করা সম্ভব নয় কিন্তু যখন রাষ্ট্রপতির সংলাপ আরম্ভ হয়ে গেল তখন সব দলই একই কথা বললো যে আইনটা হওয়া দরকার। তারপরই অনেকে বলেছে যে যদি স্বদিচ্ছা থাকে তাহলে আইনটা করা সম্ভব, এতো সমালোচনার মধ্যেই কিন্তু আইন করা হল। যেটা বিগত ৫০ বছরে হয়নি সেটা এখন হয়েছে তাই আমাদের এই আইনটাকে স্বাগত জানাতে হবে। নির্বাচন কমিশন ভালো কি খারাপ হবে এটা বলা যাবে না অথবা নির্বাচন কমিশন আইনের দ্বারা যদি কমিশন তৈরি হয় তাহলে খুব ভালো কাজ করবে এটাও বলা যাবে না। নির্বাচন কমিশন তৈরি হয়ে গেলে পরে যারা স্টেক হোল্ডার আছে সবার সহযোগিতা দরকার হবে। যত ভালো লোকই নিয়োগ করা হোক যদি সবাই সহযোগিতা না করে তাহলে ভালো নির্বাচন সম্ভব হবে না।
ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনঃ
দুই জন হলেই কিন্তু একটি সার্চ কমিটি হয়ে যায়, এই দুই জনের সার্চ কমিটিকে জাতির মেনে নিতে হবে এটা আইন দ্বারা করা হয়েছে। আসলে কি জানেন, ১৯৭৩ সালে ইলেকশনে ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু হয়েছিল আমরা সেটা জানি এবং এই ২০১৪ সালে হয়েছে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৮ সালেও হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে কন্সটিটিউশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা শুরু হয়েছে। আপনি দেখুন তো, কন্সটিটিউশন কে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে খুব সুন্দর ভাবে। কেন? কারন ২০১৪ সালে বিনা ভোটের এমপি, ২০১৮ সালে বিনা ভোটের এমপি, সংসদে মেজরিটি এবং তাদের গৃহপালিত বিরোধী দলকে নিয়ে তারা যা ইচ্ছা সেটাই করছেন। অর্থাৎ নির্ধারিত ব্যক্তিদের দ্বারা নির্ধারিত লোককে ইলেকশন কমিশন বানানো হচ্ছে। আবার কি করা হচ্ছে? যে সকল কে আসতে হবে এই রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে, এই তো বাধ্যবাধতা করা হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনঃ
বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল তারা কখনো এই আইনটি করেনি এবং এই আইনটি হওয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হতো তার একটা সমাধান হয়ে গেল। বিএনপির কাজই হচ্ছে সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা তারা কোন ইস্যু না পেয়ে এখন নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে তারা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। সংসদে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এবং রিতিনীতি অনুসরণ করেই নির্বাচন কমিশন আইন পাশ করা হয়েছে।