একাত্তর সংযোগ একাত্তর টিভি ২০০০ ঘটিকা ২৬ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-26 20:00:00
রায়ান সামিনঃ
আমরা এমন একটা আস্বাস চাচ্ছিলাম এবং এমন একটা পদক্ষেপ চেয়েছিলাম যেখানে থেকে আমাদের কথাবার্তা গুলো শোনা হবে। আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার জাফর ইকবাল স্যার এসে কোন প্রকার প্রশ্ন না করে মিডিয়ার সামনে আমাদের সামনে সংহতি প্রকাশ করে এবং একটা অস্বাস পাই। আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের সাথে আরও ২৭ জন সহপাঠী ছিল এবং আমরা অনশন ভাঙাতে রাজি হইনি। আমরা বিশ্বাস করি সামনের দিনগুলোতে আমাদের শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যার আছেন এবং তারা তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন, যাতে আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয়।
এন আই খানঃ
এর আগেও আমরা দেখেছি যে জটিলতা যখন হয়েছে, তখন জাফর ইকবাল স্যার গেছেন এবং তখন রেসপন্স ভিন্ন হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় জাফর ইকবাল সাহেবকে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দেখা যেতে পারে। জাফর ইকবাল স্যার যদি ভাইস-চ্যান্সেলরের দাঁড়ায় তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের মনমতো একটা পরিবেশ ফিরে পাবে। শিক্ষার্থীদের সাথে মিনিমাম কন্টাক্টর খুব কম, ভালোবেসে যদি কন্টাক্টর হয় এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির ভেতরে যদি ছেলেমেয়েদেরকে আরো ব্যস্ত রাখা যায়, তাহলে এ ধরনের টুকিটাকি বিষয় বড় ধরনের কিছু হবে না। জাফর ইকবাল সাহেব কে যদি আরো আগে আনা যেত, তাহলে হয়তো এত দিনে এসব ঘটনা হতো না।
অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাসঃ
যে ঘটনাটি শুরু হয়েছিল তার শুরু থেকেই আলোচনার একটা পরিবেশ তৈরি করেছিলাম। হঠাৎ করে একটি ছোট ঘটনা অনেক বড় হয়ে গেছে এবং সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা আমরা বলেছি। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের ওপর যে হামলা হয়েছে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যার কারণে আজকের এই দাবি এবং সেটা আমরা সমাধান করতে পারিনি। এত ছাত্র এবং শিক্ষক আহত হল, সেখানে পুলিশ কেন অ্যাকশনে গেল এটা আমরা জানি না। ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন কিন্তু কখনো সহিংস ছিল না। এত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আমরা এর আগে দেখিনি এবং এতদিন নদীর নাম দোলন করছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা গ্লাস পর্যন্ত তারা ভাঙেনি, এটা বিরল একটা দৃষ্টান্ত বলা যেতে পারে।
অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীঃ
আসলে এটা দুঃখজনক যে একজন উপাচার্যের পদত্যাগ, এক দফা দাবিতে এটা চলছে। উপাচার্য শুধু নয় শিক্ষকসহ অস্থায়ীনিত সংকট তৈরি হয়েছে। এখানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেছেন যে ঘটনাটি ঘটেছে পুলিশের একশনের জন্য, সেটাই আসলে জিনিসটা বড় করেছে। এখানে সাবেক শিল্পসচিব ডিসকাশন করেছেন, এখানে অস্থায়ীনত সংকর আছে, ও নিশ্চয়তা আছে। পুলিশ একশন ক্যাম্পাসে কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয় এবং পুলিশ একশন করার সময় তখন বিবেচনায় নেয়া উচিত ছিল। পুলিশ একশন ছাত্র শিক্ষক বা প্রশাসনের অ্যাকশনে চলে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে তিন বছর আগে আমরা যখন ক্যাম্পাস আইডেন্টিটি চেক করে ছিলাম, তখন বহিরাগত অনেকে আসতেন।