নিউজ আওয়ার এক্সট্রা,এটিএন নিউজ ২১৩০ ঘটিকা ২৫ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-25 21:30:00
ড. তানজীমউদ্দিন খান:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাধানটা শিক্ষকদের মাধ্যমে আসতে পারে। এর সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক দেয়া উচিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে পথে হাঁটেনি। যখন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের আন্দোলন হয়েছিল। তখন উপাচার্য নিজে উপস্থিত ছিলেন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত থাকা কালিন কিভাবে প্রশাসন ছাত্রদের উপর ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল:
সাম্প্রতিক সময়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা এটা একান্তই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়।এর সঙ্গে বাহিরের কোন রাজনীতিক বা কোন দলের সাথে সাংঘর্ষিক না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যকে একটা চাপের মুখে ফেলে সেখান থেকে প্রশাসন তাকে বের করে আনে এটা একান্তই তাদের ব্যাপার এখানে আমাদের আওয়ামী লীগের কোনো সংযোগ নেই।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের উপর যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে এটা অত্যন্ত নিন্দাজনক। ক্যাম্পাসে প্রশাসনের হামলা এটা কখনো ভালোর দিকে যায় না এটা ছাত্ররাও পছন্দ করেনা শিক্ষকরাও পছন্দ করে না। আমার ২৯ বছরের শিক্ষকতা জীবনে আমি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত থেকেছি কিন্তু একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থেকে পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়। যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা তার একটা সুষ্ঠু সমাধান দরকার এখানে পদত্যাগ কোনো সমাধান না।
অধ্যাপক আকতারুল ইসলাম:
শিক্ষকদের সামনে পুলিশ ছাত্রদের কে মারছে এবং অনেক সিনিয়র শিক্ষক ছিলো সেখানে। শিক্ষকরা যখন সামনে থেকে ছাত্রদেরকে মারধরের হাত থেকে ঠেকাতে পারেনি এটা তো একটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। ছাত্ররা একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চেয়েছিল কিন্তু কিছুদিন আগে দেখলাম তাদেরকে কেউ যেন একটা বুদ্ধি দিয়েছে যে উপাচার্যের বাড়ির বিদ্যুৎ এবং পানির লাইন কেটে দাও তারা আবার সেটা করল সুতরাং তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস আন্দোলনে দিকে চলে যাচ্ছে।
জাহিদুল ইসলাম:
আমরা প্রায় গত দুই তিন মাস ধরে কিছু দাবি নিয়ে উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলাম তিনি আমাদের সেই দাবির কোন সমাধান দেয়নি এবং আমরা বারবার শিক্ষকc এই দাবি জানিয়েছে কোন শিক্ষক আমাদেরকে সাড়া দেয়নি এ জন্য আমরা এখন আন্দোলন করছি কিন্তু সেই আন্দোলনের যখন উপচার্য প্রশাসনকে আমাদের উপর মারধর করার নির্দেশ দিয়েছিল তারপর থেকে আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ পেয়েছি কারণ যে আমাদের সামনে থাকা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় এখন আমাদের একটাই দাবি উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে পদত্যাগের মারুফ ভাইয়া