রাজকাহন,ডিবিসিনিউজ ২২০০ ঘটিকা ২৫ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-25 22:00:00
হ-উল-আলম লেনিনঃ
বঙ্গবন্ধু যখন বাকশাল করেন তখন এমনি এমনি বাকশাল করেনি তার পিছনে একটি পরিপ্রেক্ষিত আপনি। আকস্মিকভাবে তিনি এটা করেননি। এটা আমাদের সকলেরই জানা আছে যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এর ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু যখন নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। একদিকে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা অন্যদিকে জনজীবনের পরিবর্তন আনা এবং অর্থনীতিকে জীবিত করা। আওয়ামী লীগ সহ যারা যুদ্ধের পক্ষে ছিল তারা দেশ পুনর্গঠনে কাজে নিয়োজিত ছিল, অন্যদিকে যারা উগ্রবাম যারা সে সময় চীনাপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল সে সকল শক্তি নানা ধরনের দুষ্কৃতী মূলক ষড়যন্ত্র শুরু করলো। সে সময় জাসদের সৃষ্টি হয় তারা গণবাহিনী সৃষ্টি করে বিভিন্ন জায়গায় তারা সশস্ত্র তৎপরতাও করেছে। যার ফলে অনেকের প্রাণহানি ঘটেছে।
অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদঃ
বঙ্গবন্ধু বাকশাল করার পরে দলে দলে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে সমর্থন দেয়া শুরু করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য এর পিছনে একটা গোষ্ঠী যারা একাত্তরের যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল। বাকশাল মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন তারা এ কথাটি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর আসনকে চিরস্থায়ী করার জন্য এটি করেছে। এমন তথ্য তারা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া শুরু করল। এর মধ্যে ছিল উগ্র বামপন্থী, উগ্র দক্ষিণপন্থী সহ আরো কিছু কিছু। তৎকালীন সময়ে জাসদের মতন একটি দল হঠাৎ করে এত বড় হলো কি করে? তারা গণবাহিনী করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদেরকে গণহারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আওয়ামী লীগেরই একটি গ্রুপ ঘাপটি মেরে ছিল এবং পরবর্তীতে তারা একটি সরকার গঠন করল। আমরা বুঝতে পারলাম যে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের ষড়যন্ত্রটি এতদিন পর কামিয়াব করেছে তারা।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমঃ
সর্বপ্রথম আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি বুঝতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ গণবিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলন ছিল না। এটা ছিল জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম। মোশতাক যে বঙ্গবন্ধুর পিছনে ষড়যন্ত্র করছে এবং তাকে ছোবল মারার অপেক্ষায় আছে সেটা বঙ্গবন্ধু কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেছিলেন সেলিম মোস্তা কিন্তু খুব সাংঘাতিক লোক তার থেকে সাবধানে থাকবা। আমি তাকে বলেছিলাম খারাপ লোক হলে আপনি কেন তাকে কাছে রাখেন? তিনি বলেছিলেন বুঝলানা শয়তান তো তাই বগলের নিচে রাখি।
অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদঃ
বঙ্গবন্ধু আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বদল করতে চেয়ে ছিলেন। বদল করার মানে এটি ছিল দ্বিতীয় বিপ্লব। প্রথম বিপ্লব ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ। দ্বিতীয় বিপ্লব হচ্ছে মানুষের সার্বিক আমাদের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক মুক্তি। সেই কর্মসূচিটাই তিনি দিয়েছিলেন। প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বাস্তবায়নের জন্যই বাকশাল করা হয়েছিল। এগুলো ছিল রাজনৈতিক এর সাথে ছিল প্রশাসনিক কিছু পদক্ষেপ। তিনি প্রশাসন ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চেয়েছিলেন আমলা ব্যবস্থাতে তিনি যেতে চাননি। তিনি প্রশাসন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিতে গিয়েছিলেন যাতে গ্রামের মানুষ, সাধারণ মানুষ তার উপকারিতা পায় এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।