একাত্তর সংযোগ, একাত্তর টিভি ২০০০ ঘটিকা ২৫ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-25 20:00:00
মোল্লা আমজাদ হোসেনঃ
আসলে কার্যত রান্নার গ্যাসের চুলা ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে ১১৭ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা কোন জানালি ক্ষেত্রেই একসাথে এত বড় দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য না। বিশ্বের অনেক দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাজারের উপর নির্ভর করে। জ্বালানির দাম বাড়লে বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ে, দাম কমলে সেটি আবার কমে। কিন্তু বাংলাদেশের এমনটি হয় না। আমাদের এখানে দাম বাড়লে সেটি আর কমে না। গ্যাসের দাম অ্যাডজাস্ট করতে হলে সরকারকে বর্তমানে বড় ধরনের একটি ভর্তুকি দিতে হবে। গ্যাসটা যেহেতু সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে সে ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর আগে সকল স্তরের ভক্ত প্রতিনিধিদের সাথে এবং ভোক্তাদের সাথে মুক্ত বৈঠক করে তারপর পেট্রোবাংলার প্রস্তাবটা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলমঃ
পেট্রোবাংলা একক ক্রেতা। সে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে। আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে, আইওসির কাছ থেকে এনে সরবরাহ করে। মানে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে এবং বিতরণ কোম্পানিগুলোর আমাদের কাছে বিক্রি করে। আমরা বলেছি যে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির ইখতিয়ার বিতরণ কোম্পানিগুলোর নেই। পেট্রোবাংলাকেই মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব আনতে হবে, এই প্রস্তাব আনলে বিআরসি বিবেচনা করবে, এছাড়া বিএসসির পারবে না। পেট্রোবাংলা এবং বিতরণ কোম্পানিগুলোর আইন অমান্য করার যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে এটা খুবই আতঙ্কজনক। ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবশ্যই আতঙ্কজনক।
মোঃ আব্দুল জলিলঃ
৫ জানুয়ারি ২০২২ ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য পেট্রোবাংলা আবেদন করেছিল। আমরা তাদের আবেদনটি বিশ্লেষণ করে দেখিয়ে তাদের আবেদনটি আইন এবং প্রবিধান সমৃদ্ধ নয়। আমরা তাদের বলেছি আইন এবং প্রবিধান সহ যদি কোন প্রস্তাব থাকে তাহলে পুনরায় সেটি প্রেরণের জন্য। যে প্রস্তাবেই আমাদের কাছে আসুক না কেন সেটা চুলচেরা বিশ্লেষণ হওয়ার পরেই মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সুতরাং আতঙ্কিত হবার কোন বিষয় নেই। সরকার ইতিমধ্যে অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম করেছে। অনৈতিকভাবে কোন প্রস্তাব দেয়া থাকলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া একটি রয়েছে। যদি ফৌজদারি বিধির অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের কাছে আবেদন করার পর আমরা এটা বিচার-বিশ্লেষণ করে তিন দিনের মধ্যে একটি গণশুনানি করব এবং ৯০ দিনের মধ্যে আমরা একটি প্রতিবেদন দিব এরপর বলা যাবে যে গ্যাসের দাম কত খানি বৃদ্ধি হতে পারে।