টেবিল টক এশিয়ান টিভি ১৮৩৫ ঘটিকা ২৫ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-25 18:30:00
ফারুক মেহেদীঃ
শিক্ষার্থীরা সামান্য বিষয় নিয়ে এই আন্দোলন শুরু করে কিন্তু পরবর্তীতে এটি উপচার্য পর্যন্ত যায় কিন্তু আমরা দেখলাম উপাচার্য মহোদয় এটাকে গুরুত্ব দেয়নি, যার ফলে আমরা দেখলাম এর তীব্রতা আমার পর্যায়ক্রমে দেখলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর যেভাবে আসুন করা হয়েছে এরকম আমরা আমাদের জীবনে কখনো দেখিনি। যেখানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বাবা-মা থাকে না শিক্ষকরা হচ্ছে তাদের অভিভাবক সেখানে সাথে সাথে এভাবে পিটানো এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এখানে তৃতীয় কোন পক্ষ আছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা যেতে পারে। সরকার এখানে ভিসিকে কেন বলতে যাবে আপনি পদত্যাগ করে।
অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেনঃ
প্রথমত হচ্ছে প্রশাসনিক ব্যর্থতা (শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায়), দ্বিতীয়ত হচ্ছে শিক্ষক-উপাচার্যের আন্তঃসম্পর্কের ত্রুটি এবং এই ত্রুটি নির্মাণ করে দিয়েছে এই বাংলাদেশ সরকার। সরকার এখন এটাকে (শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলন) মোকাবেলা করছে কিন্তু সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যে পর্যায়ে নেয়া হয়েছে সমস্যাটিকে আমার মনে হয় সমাধানের চেয়ে সংকটটি জটিল করা হচ্ছে। এখন মূল সমস্যাটা হচ্ছে শিক্ষক-উপাচার্যের দ্বন্দ্ব-সংকট যার স্রষ্টা হচ্ছে, সরকার।
ড. ফেরদৌস জামানঃ
শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘটনার পরপরই আমরা আমাদের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের কাছে ঘটনা জানার চেষ্টা করেছে এবং তারপরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীমহোদয়দের সাথে যোগাযোগ করেছি। অতীতে এর থেকেও বেশি আন্দোলন হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নতুন নয়। ওয়াইফাই নিয়ে যে সমস্যা কথা বললো এটা কখনো ভালো কাজ করে আবার কখনো খারাপ কাজ করে। এই ঘটনার পেছনে কোনো অশুভ শক্তি বা ইঙ্গিত আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু একজন অধ্যাপক যাকে জাতীয় অধ্যাপক করেছিলেন তার কিন্তু পিএইচডি ছিল না, এখানে আসলে পিএইচডি মুখ্য না মুখ্য হচ্ছে, নৈতিকতা ও ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের ব্যাপার।