সম্পাদকীয় সময় টিভি ২২০০ ঘটিকা ২০ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-20 22:00:00
ড. আসাদুজ্জামান রিপনঃ
বাংলাদেশে যে স্টাইলে নির্বাচন হচ্ছে, বাংলাদেশের মানবাধিকারের পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বা মিডিয়ার স্বাধীনতা যে পর্যায়ে নেমেছে তাতে করে কি এটা মনে হওয়ার কোনো কারণ আছে যে সরকারের মধ্যে নূন্যতম একটা তাগিদবোধ আছে বলে তো আমার মনে হয় ন। এই সরকারের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হচ্ছে, তারা অফিশিয়ালি মুখে মুখে তারা নিজেদেরকে জনপ্রতিনিধি বলে দাবি করেন কিন্তু তারা সবচেয়ে ভালো করে জানেন যে জনগণ তাদেরকে ভোট দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে চলতি একটা আন্দোলন ছাত্র ছাত্রীরা করছে সেখানে ছাত্রীদের প্রতি যে ধরনের আচরণ করছে, পুলিশ যে আচরণ করছে এবং সরকারের হেলমেট বাহিনী অর্থাৎ ছাত্রলীগ যেভাবে আপনার মানে বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা ছাত্রদের গড়ে ওঠা আন্দোলনগুলোকে যেভাবে হামলা করে এটাকে দমন করতে চায়, আপনি কি মনে করেন যে এগুলো সরকারের ভাবমূর্তি বাড়ায়? নিঃসন্দেহে সরকারের ভাবমূর্তি বাড়ায় না? খুন হয়নি, গুম হয়নি, RAB এর বাড়াবাড়ি হয়নি এই সমস্ত, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে আল জাজিরা যে রিপোর্টটা করেছে সেটাকে খন্ডানোর জন্য, এরকম বিভিন্ন সময় অপহরণ, গুম, খুন এই সমস্ত জিনিস গুলো ঢাকার জন্য, ক্রসফায়ার এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এগুলোকে ঢাকার জন্য এই সমস্ত ক্ষেত্রে তারা (সরকার) এই লবিস্ট ফান্ডকে এংগেজ করেছে।
আহসানুল ইসলাম টিটুঃ
আমরা বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয় এবং সংবিধান মেনেই যখন ভোট দেয়া দরকার তখন ভোট হয়। সাংবিধানিক ব্যবস্থা অনুযায়ী কিন্তু গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে, এটা শুধু বাংলাদেশের নয় বিভিন্ন দেশের সংবিধান অনুযায়ী তাদের সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুযায়ী তারা তাদের গণতন্ত্র এগিয়ে নিচ্ছে। নির্বাচন সরকারের সময় সুষ্ঠু হয় না এই কথাটা ঠিক না। বিএনপি কখনই জনগণের দল ছিল না, তারা সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার হাত ধরে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতায় আসছে, সামরিক প্রশাসক হিসেবে নির্বাচন করেছেন, সেই ভাবে কিন্তু তারা তাদের দল এখনও পরিচালিত করছে।
জায়েদুল আহসান পিন্টুঃ
বিএনপি বলছে সরকারের উপর চাপ অব্যাহত থাকবে বিএনপি'র দিক থেকে চাপ অব্যাহত রাখে সঠিক। আজকের বিএনপির কথা যদি চিন্তা করেন এই মুহূর্তে বিএনপির যে অবস্থান ও সাংগঠনিক কাঠামো বা নেতৃত্বের যে অবস্থা এই দিয়ে দাবি আদায় করা আমি মনে করি না সম্ভব। আমরা এখন বলছি এই স্বল্প সময়ে নির্বাচন কমিশন আইন করতে গেলে ভুলত্রুটি হতে পারে, আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে এই আইনটি তড়িঘড়ি করে করা ঠিক হবে।