গোল টেবিল আরটিভি ২৩৩০ ঘটিকা ১২ জানুয়ারি ২০২২
2022-01-12 23:30:00
ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থঃ
(০০:১৪:০৭) এটা সত্য যে বাংলাদেশে নির্বাচনকে অনেক আগেই নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন নির্বাসনেই আছে সেই ২০১৪ থেকে, তার পর থেকে খুব নগণ্য সংখ্যক দুই একটা জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নানা কৌশলের কারণে মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছে, এটা Exception, এর বাইরে আপনি কোথাও দেখাতে পারবেন না যে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে (০০:১৪:৩৬)। (০০:৪৯:০৫) (এই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ ট্যাক্স দেয়), সেই ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এই দেশের মানুষ খুন করে, মানুষ গুম করে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সেটাকে ঢাকার জন্য আবার লবিস্ট নিয়োগ। অর্থাৎ আমাকে খুন করে আমার টাকায় আবার আমার যে অভিযোগ সেটাকে ঢাকবার চেষ্টা করেছে এই রাষ্ট্রপরিচালকরা (০০:৪৯:২১)।
সাইফুল হকঃ
(০০:১৭:৫৭) ১৪ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতার পরে, যেখানে নজিরবিহীনভাবে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং এর পরে ১৮ সালে যেটা দুনিয়াতে দ্বিতীয় কোন উদাহরন আছে কি না যে দিনের ভোট আগের দিন রাতে কিভাবে, এক ধরনের প্রশাসনিক 'ক্যু' এর মাধ্যমে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ করে আমলাতন্ত্র কিভাবে তারা সেখানে সরকার দলের পক্ষে কাজ করেছেন এবং এর পরে মানুষ কিন্তু এখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মধ্য দিয়ে পছন্দের দল বা প্রার্থীকে মানুষ ভোট দিতে পারবে, এই বিশ্বাস মানুষ কিন্তু ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে (০০:১৮:৪২)। (০০:২০:২৩) বাংলাদেশের যেটুকু যা অর্জন ছিল আমাদের অর্থনীতি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে, আমাদের সামাজিক প্যারামিটারে যে সমস্ত উন্নতিগুলো ছিল, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে একটা চরম কর্তৃত্ববাদী সরকার যেভাবে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে যেভাবে অনেকটা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছেন (০০:২০:৪৫)।
সুভাষ সিংহ রায়ঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে একারণেই যে এটা ঢাকার একেবারে কাছের শহর। যদিও সিটি করপোরেশনটা খুবই ছোট তারপরেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেহেতু খুব বিস্তৃত স্বাভাবিক কারণে এর এক ধরণের উত্তেজনা রয়ে যায়। ইউপি নির্বাচনে নৌকা পরাজিত হয়েছে, কারণ তার দলের প্রার্থীদের কাছে যাদেরকে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী বলা হচ্ছে। অন্য কারো বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নয়।
নজরুল ইসলাম বাবুঃ
নৌকা ফুটো যারা খুজেন ওনাদের আসলে বিবেচক হিসেবেই বিবেচনা আরেকটু ভালো করে করা উচিত। কারণ জাতীর সামনেই এই আলোচনা তুলে ধরা হচ্ছে। যিনি বলছেন ও ভাবছেন আর যুক্তি দেখাচ্ছেন ওনাকে একারণে ভাবতে হবে কারণ মানুষ তাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করবে। রাজনীতির যেই খেলা এবং যেই হিসেব তার থেকে অনেক দূরে আছেন এইকারণে তিনি হিসেব করে কথা বলেন না। নৌকার যেই পরাজয় এটার কারণ হলো অনেকেই নমিনেশন চান এবং যাকে দেওয়া হলো তখন তৃণমূল থেকে নিজেরাই পরিবর্তন করে নেন।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীঃ
প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে সেটা যেভাবেই করুক না কেন মেনে নেওয়া যায় আর এমপিরা প্রচার করলেও এমন কোন আহামরি পার্থক্য হবে না সেই বিষয়েও কয়েকজন বলছে। তারা যদি ক্যাম্পেইন করে এটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির একটি অংশ। নারায়ণগঞ্জের ভোটের প্রেক্ষাপটটা অনেক ভিন্ন। ওখানে আইভীর গ্রহণযোগ্যতা আছে। তিনি আওয়ামী লীগেরও ভোট পান আবার অন্য দলেরও ভোট পান। তিনি বিশেষকরে শামীম ওসমানের বিরোধী দলের ভোটটা পান। আমাদের এখনও জনগণ, সরকার, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ব্যুরোক্রেসি এক কাতারে আসেনি। আমি আপনার টকশোতে অনেকবার বলেছি। একবারই এসেছিলো ৭১ সালে আর কখনও আসেনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সঃ
(২৩:৪৯:০১) (নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে) আমাদের একজন নেতা তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ইতিমধ্যেই তিনি কিছু অভিযোগও এখানে উপস্থাপন করেছেন। আমরাও শুনতে পারছি যে এই নির্বাচন করতে গিয়ে উনার (তৈমুর আলম খন্দকার) যারা নির্বাচন করছেন ইতিমধ্যে প্রায় ২০ জনের মতো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, উনার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে যে, আগের মামলায় এদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার জিজ্ঞাসা থাকতেই পারে, এই যে আগের মামলাগুলো হঠাৎ করেই নির্বাচনের আগেই সচল হয়ে গেল এগুলো কেন আরো আগে তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান চালানো হলো না? কারণ এটা হচ্ছে ওখানে যে আজকে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, সেখানে যে প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এটা হচ্ছে তার প্রমাণ (২৩:৪৯:৫৬)।
অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমঃ
আইভী প্রতিবার জয়ী হয়েছেন। বারবার মানুষের তার উপর বিশ্বাস রাখাটা এবং তাকে ভোট দেওয়ার এমনকি তার যেই কাজ অর্থাৎ মানুষের ভোট নিয়ে বসে থাকেনি বরং ঘরে ঘরে গিয়েছে। সে বিদেশে লেখাপড়া করেছে কিন্তু তার জীবনমান অত্যন্ত সাধারণ। এইযে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা হয়ে ওঠাটা সে অর্জন করেছে, সেটা ১ বা দুই দিনে হয়নি। যখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তখন জনগণ বিবেচনায় আনে যে কোন প্রার্থীকে বিজয়ী করলে তাকে ২৪ ঘণ্টা পাওয়া যাবে তাই তারা আইভীকেই বেছে নিয়েছে।