জায়েদ খানের পর মাঠ কাঁপাচ্ছে শাকিব খান
প্রকাশিত: ২০:৫৮ ৫ জুলাই ২০২২ আপডেট: ২১:৪২ ৬ জুলাই ২০২২

খামারি গরুটির দাম হাঁকছেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা
ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। গরুর খামারিদের যেন দম ফেলানোর সময় নেয়। সবাই ব্যস্ত তাদের খামারের গরুগুলোক বিভিন্ন নামে বাজারে প্রদর্শনের জন্য। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে খামারিরা তাদের সেরা গরুগুলোকে বিভিন্ন নাম রাখছেন।
খান বাহাদুর, রাজাবাবু, বসসহ বিভিন্ন নায়কের নাম রাখছেন। ঠিক তেমনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউপির হাজীপুর গ্রামের খামারি ইউনুস মিয়া তার এক গরুর নাম রেখেছেন 'শাকিব খান'। বাংলা সিনেমার এই অভিনেতার নামে গরুর নামটি রাখা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার জেলার নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির খামারি বিক্রির জন্য তার খামারের একটি গরু শাকিব খান নামে বাজারে তোলেন। বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা সাকিব খানের নামের সঙ্গে নাম মিলিয়েই খামারি গরুটির নাম রেখেছেন শাকিব খান। শাকিব খানকে দেখতে বাজারে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। খামারি গরুটির দাম হাঁকছেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা। ওজন প্রায় ৭০০ কেজি। তবে কাল বিকেল পর্যন্ত জায়েদ খানের দাম উঠেছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
খামারি ইউনুস মিয়া জানান, এবার কোরবানির পশুর হাটে তোলার জন্য তার খামারে ২২টি গরু পালন করেছেন। খামারের বড় গরুগুলোকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন নায়কের নামে নাম রেখেছেন। ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য বর্তমান সময়ের বাংলা সিনেমার আলোচিত নায়কদের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, শাকিব খানের পাশাপাশি বাংলা সিনেমার আরেক নায়ক জায়েদ খানের নামে তার একটি গরুর নাম রেখেছেন। ৬০০ কেজি শাকিব খানের গরুটির দাম হাঁকছেন ৩ লাখ টাকা। তবে কাল বিকেল পর্যন্ত জায়েদ খানের দাম উঠেছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় ৭৪টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে জেলার ৯টি উপজেলায় রয়েছে ৭০টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ৪টি। এরই মধ্যে পশুর হাটে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে।
কোরবানির পশুর হাটগুলোতে অন্তত ৯০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকার পশু বেচা-কেনা হবে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় আশা করছেন। চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১২ হাজার ৪০০ খামারে কোরবানির জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ১১৮টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা কোরবানির জন্য চাহিদার তুলনায় বেশি। এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য পশুর মোট চাহিদা ১ লাখ ৭০ হাজার ৫২০টি। চাহিদার তুলনায় উদ্ধৃত রয়েছে ৯ হাজার ৫৯৮টি পশু।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএইচ