‘মানুষ হত্যার কারখানা খুলেছে রিপন, আমার ছেলেকেও প্রাণে মেরেছে’
প্রকাশিত: ১৯:২৩ ২৬ জুন ২০২২

নিহত শিহাব
টাঙ্গাইল শহরের সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবনে শিক্ষার্থী শিহাব মিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে।
রোববার দুপুরে এমনই তথ্য জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে শিহাবের পরিবার।
২০ জুন শহরের বিশ্বাস বেতকা সুপারি বাগান এলাকায় স্কুলটির আবাসিক ভবন থেকে শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান শিক্ষকরা। পরে শিহাব অ্যাক্সিডেন্ট করেছে বলে শিহাবের পরিবারকে জানানো হয়। শিহাব মাথা ঘুরে পড়ে গেছে বলেও জানান স্কুল কর্তৃপক্ষের লোকজন।
ধরনার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শিহাব আত্মহত্যা করেছে বলে সেদিন জানিয়েছেন সৃষ্টি একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসেন।
শিহাব সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। তার মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাটিকে হত্যা দাবি করে জড়িতদের শাস্তির জন্য দফায় দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শিহাবের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে শিক্ষিত করার জন্য সৃষ্টিতে দিয়েছিলাম। আগে জানতাম সৃষ্টির মালিক রিপন মানুষ গড়ার কারখানা খুলছে। আমার ছেলেকে হত্যার পর জানলাম রিপন মানুষ হত্যার কারখানা খুলছে। আমার ছেলেকে যেভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, ঠিক সেইভাবে জড়িতদের ফাঁসি দাবি করছি।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো হাতে আসেনি। হাতে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, শিহাবকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমআর