লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলে ৫ জন বিবাহিত
প্রকাশিত: ২১:০৫ ৯ জুন ২০২২ আপডেট: ১৪:১০ ১০ জুন ২০২২

ছাত্রদলের লোগো -ফাইল ফটো
বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী দিয়ে চলছে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের মেয়াদর্ত্তীণ কমিটি। ১১ সদস্যের মধ্যে ৫ জনই বিবাহিত। তাদের আছে ব্যবসা ও ভিন্ন ভিন্ন পেশা। এরমধ্যে দুইজন থাকেন প্রবাসে। এছাড়া আংশিক এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি ৪ বছরেও।
এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর, লক্ষ্মীপুর পৌর, লক্ষ্মীপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও রায়পুর উপজেলাসহ ৭টি ইউনিটে ৫-৬ বছর হলেও কমিটি দিতে ব্যর্থ জেলা ছাত্রদলের নেতারা।
জেলা ছাত্রদলের ১১ সদস্যের আটজনই বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী। যাদের কারণে জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে। ফলে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কমছে।
২০১৮ সালের জুন মাসে হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমকে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যদের আংশিক জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান মিশন, গাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মীর মোশারফ হোসেন আরাফাত, কামাল উদ্দিন রায়হান, আমজাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান হোসেন আকবর।
জাহিদ হাসান ২০১৯ সাল থেকে সদর পূর্ব উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সম্প্রতি ঘোষিত জেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। জসিম উদ্দিন বিদেশে থাকেন, মীর মোশরাফ হোসেন আরাফাত ঢাকায় নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত, আমজাদ হোসেন জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ফখরুল ইসলাম সোহেল প্রবাসী। তারা বিবাহিত। বাকিদের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সদর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি আমির আহমেদ রাজু বলেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের খামখেয়ালির কারণে আমরা কমিটি পাচ্ছি না।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা না থাকায় আমরা জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও অন্যান্য ইউনিট কমিটি গঠন করতে পারিনি।
ডেইলি বাংলাদেশ/এআর/এমআরকে