নেশার টাকা জোগাড় করতে এখন তিনি ভয়ংকর ছিনতাইকারী
প্রকাশিত: ২১:২৫ ২২ মে ২০২২

গ্রেফতার ওয়াদুদ বুলবুল ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়ার বাসিন্দা ওয়াদুদ বুলবুল শখের বশে হঠাৎ একদিন বন্ধুর সঙ্গে ফেনসিডিল সেবন করেন। এরপর ইয়াবা। এরপর আর এগুলো ছাড়তে পারেননি। নেশার জগতে ঢুকে টাকা জোগাড় করতে এখন তিনি ভয়ংকর ছিনতাইকারী।
গত শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ইফফাত জাহান রিতার ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের পর শনিবার রাতে বুলবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠিয়েছে।
বুলবুলের বাবা গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছিলেন। বাবার রেখে যাওয়া চারতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে বাস করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ইফফাত জাহান রিকশায় চড়ে শহরের রেলগেট থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ইফফাতের ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যান বুলবুল। পরে ক্লোজ সার্কিটের (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় বুলবুল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন।
ওয়াদুদ বুলবুল জানান, তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ। চার মাস ধরে ফেনসিডিল ও ইয়াবায় আসক্ত। হাতে টাকা থাকলে তিনি ফেনসিডিল সেবন করেন। এক বোতল ফেনসিডিলের দাম দুই হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিদিন তার অন্তত ছয়টি ইয়াবা বড়ি লাগে। প্রতিটির দাম ২৫০ টাকা। নেশার টাকা জোগাড় করতেই তাকে ছিনতাই করতে হচ্ছে।
বুলবুল জানান, জুমার নামাজ আদায়ের পর নেশার জন্য মাথা ব্যথা করছিল। তখনই তিনি একটা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে বের হন। তবে ধরা পড়বেন তা ভাবেননি। এর আগেও ছিনতাই করলেও এবারই প্রথম তিনি ধরা পড়েছেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, নেশার টাকার জন্য অনেক ভালো পরিবারের সন্তানেরাও অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। বুলবুলও তাদেরই একজন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুলবুল যেসব স্থান থেকে মাদক জোগাড় করতেন সেগুলোরও সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে অভিযান চালানো হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকে