জমি লিখিয়ে নিতে বৃদ্ধকে শেকল বন্দি, স্ত্রী-সন্তান আটক
প্রকাশিত: ২০:২১ ২২ মে ২০২২

জমি লিখিয়ে নিতে বৃদ্ধকে শেকল বন্দি ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
জমি লিখিয়ে নিতে বৃদ্ধকে শেকল বন্দি করে রাখার অভিযোগে আটক বৃদ্ধের স্ত্রী হামিদা আক্তার ও বড় ছেলে সেলিম মিয়াকে নেত্রকোনা কোর্টে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধ সাবেক রেলওয়ে কর্মচারী আব্দুর রাজ্জাককে মেয়ে নুরুন্নাহার ও জামাতা মো. অলিউল্লাহর হেফাজতে দেয়া হয়েছে। এদিকে রোববারই বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক নিজেই কোর্টে গিয়ে স্ত্রী এবং ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন জিম্মায় দেয়া জামাতা অলিউল্লাহ।
কেন্দুয়া থানার ওসি মো. আলী হোসেন বলেন, গতকাল মানবাধিকার কর্মীদের কাছে শুনে বৃদ্ধকে তার মেয়ের কাছে দিয়েছি। এ ঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে থানায় স্ত্রী ও ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। দুজনকে বাড়ি থেকে আটক করেছি। ওদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী দুই ছেলে পলাতক। বৃদ্ধের বাড়ি উপজেলার চিরাং ইউপির মনাটিয়া গ্রামে।
বৃদ্ধের মেয়ের জামাই মো. অলিউল্লাহ বলেন, গত দুই বছর ধরেই শ্বশুর বাড়ি যাই না লজ্জায়। তাদের কার্যকলাপ খুবই লজ্জাজনক। আমার শ্বশুরের মাত্র ৫ কাঠা জমি রয়েছে। তিনি কখন কি বলেন জানেন না। তারা এই ঝগড়া করেন আবার মিলে যান। এসবের কারণে আমরা একটু দূরে থাকি। সামাজিকভাবে লজ্জার বিষয়। আমার শ্বশুর সব জমিই বিক্রি করে দিয়েছেন। মাত্র ৫ কাঠা রয়েছে।
শনিবার তাদের মাঝে সমস্যা হলে আমার কাছে জিম্মায় এনে দিয়েছেন। এখন রাখছি। রাতে মামলা দিলে পুলিশ দুজনকে আটক করে নিয়েছিলো। রাত থেকেই শ্বশুর বলছেন ওদেরকে কেন আটক করেছে। ওরা কোথায়। তিনি সকালে গিয়ে আবার ছাড়িয়ে আনেন।
ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল কবীর খান বলেন, এরকম আগেও একবার শুনেছি। মানবাধিকার সংগঠনের নেতারাও বলেছেন। আমরা গিয়ে কিছু পাইনি। স্বাভাবিক দেখেছি। বৃদ্ধকে জিজ্ঞেসক করেছি কিছু বলেননি। হয়তো ওরা তখন ছেড়ে রেখেছে। এটাও হতে পারে বলে তিনি জানান। মানুষ গেলে আবার হয়তো বেঁধে রাখে। এবার হয়তো বাঁধা পেয়েছেন তারা।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকে