১০ মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড নীলফামারী
প্রকাশিত: ১৩:২০ ১৯ মে ২০২২

ঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাড়ি-ছবি
রাত হলেই শুরু হয় কাল বৈশাখী ঝড়। কয়েকদিনের এমন তাণ্ডবে ঘরবাড়ি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নীলফামারী জেলার কয়েক হাজার পরিবার। আর সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো বড় ঝড়ের কবলে নীলফামারীবাসী। ঝড়ে শত শত হেক্টর ফসলি জমি ধ্বংস এবং শত শত ঘরের টিনের চালা, গাছপালা উড়ে গেছে। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় ১০মিনিটে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে কাল বৈশাখী ঝড়।
জেলায় কৃষি আবাদ শত শত হেক্টর বোরো ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আম ও লিচুও জমির ভুট্টাসহ ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে রাত থেকেই। বহু ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজনের। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই অবস্থান করছেন খোলা আকাশের নিচে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ এই ঝড়ে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে উপড়ে ও ভেঙে পড়ে আছে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় গাছ। উপড়ে পড়া ও ভেঙে যাওয়া গাছ অপসারণের লোকের সংকটও দেখা দিয়েছে।
এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে আছে সোনালি ফসল। বারবার ঝড়ের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই জেলার মানুষ।
সদরের মধ্যে হাড়োয়া, সরকার পাড়া, হাজীপাড়া, কুন্দুপুকুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের এলাকার কৃষক লুৎফর মিয়া ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ১০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করছি। গত কাল দুই বিঘা জমির ধান কাটছি। এমনি কাজের লোক পাওয়া যায় না। আবার রাতের পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় আট বিঘা জমির ধান। অন্যদিকে ঘরের ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে ।
পৌরসভার মধ্যে হাড়োয়া এলাকার কৃষক সকিমুদ্দিন বুদারু ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমি শসা আবাদ করছি ৩ বিঘা সব তলিয়ে আছে।
কুন্দুপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান আবুল কালাম আজাদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ি বড় বড় গাছপালা গত রাতের ঝড়ে গুঁড়িয়ে নিয়ে গেছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ধানকাটার মৌসুম চলছে এ পযর্ন্ত ৩ ০শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। প্রতিদিনের ঝড় বৃষ্টির কারণে কিছু জমির ধান তলিয়ে থাকার কারণে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না কৃষকদের। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন ।
গত রাতের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে খবর পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএইচ