নিজ আবাসেই ফিরল বনবিড়ালের ৫ ছানা
প্রকাশিত: ১০:২৪ ১৮ মে ২০২২

বনবিড়ালের পাঁচটি ছানা
শরীয়তপুর জাজিরায় ঘাস ক্ষেত থেকে পাঁচটি বনবিড়ালের ছানা ধরা হয়েছে। তবে খুবই ছোট হওয়ায় লালন-পালনে ব্যর্থ হয় প্রাণিসম্পদ অফিস। পরে ফের একই স্থানে ছানা পাঁচটি অবমুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামে বনবিড়ালের এ পাঁচটি ছানা অবমুক্ত করেন বন কর্মকর্তারা।
এদিন গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে এসব ছানা দেখেন দেওয়ানকান্দি গ্রামের লালন মাদবর। প্রথমে বিড়াল ছানা ভেবে ধরতে গেলে মা বনবিড়াল ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে আসে। লালনের চিৎকার শুনে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসেন গ্রামের লোকজন। লোকজন দেখে মা বনবিড়াল পালিয়ে গেলেও উদ্ধার করা হয় পাঁচটি ছানা। পরে এসব বাড়িতে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেরে জাজিরা উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে বনবিড়াল ছানাগুলোকে নিয়ে যান স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী নূর আলম।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, বনবিড়াল বাচ্চাগুলো আমার হাতে তুলে দিলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে পাঠানো হয়। সেখানে বাচ্চাগুলো পরীক্ষা করে জানা যায় সুস্থ আছে। কিন্তু বাচ্চাগুলো এতই ছোট যে তা লালন-পালন করা সম্ভব নয়। তাই যেখান থেকে বাচ্চাগুলো ধরা হয়েছে, সেখানেই সেগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান বলেন, বনবিড়ালের ছানাগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেছি বাচ্চাগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে বাচ্চাগুলো এত ছোট যে তা আমাদের লালন-পালন করা সম্ভব নয়। এগুলো লালন-পালন করতে খুলনায় পাঠাতে হবে। সেখানে নিতে নিতেই বাচ্চাগুলো অসুস্থ হতে পারে বা মারাও যেতে পারে। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমআর