কোকেন চোরাচালান ও মাদক মামলায় সাক্ষ্য দিলেন স্প্যানিশ অনুবাদক
প্রকাশিত: ২১:১১ ১০ মে ২০২২

ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর মাদক মামলা ও চোরাচালান দুটি মামলায় স্প্য্যানিশ ভাষার ডকুমেন্ট ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেওয়া সাক্ষী রতন কর্মকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার আদালত সাক্ষ্য নেন। আগামী ২৯ জুন দুটি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, কোকেন উদ্ধারে মাদক মামলা ও চোরাচালান মামলা দুটি মামলার সাক্ষী অনুবাদক রতন কর্মকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি কোকেনের চালানের ডকুমেন্ট অনুবাদ করার স্বীকার করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
মাদক মামলায় সর্বমোট ২৬ জন এবং চোরাচালান মামলায় ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। পিপিকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি নোমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল, অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দীন ও অ্যাডভোকেট আবু ঈসা।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৯ মে প্রথম দফায় চার জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্ধ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা ১৮৫ কেজি করে প্রতিটি ড্রামে সুর্যমুখী তেল ছিল।
অভিযুক্ত ১০ আসামি হলেন- কোকেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।
এদের মধ্যে একে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আতিকুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি নুর মোহাম্মদ, ফজলুর রহমান, বকুল মিয়া, মোস্তাক আহমেদ খান ও মেহেদী আলম পলাতক রয়েছেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএম