স্বামীর ফোন ধরেননি মানসুরা, বাবা গিয়ে পেলেন লাশ
প্রকাশিত: ২১:১৯ ২৮ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ২১:৫১ ২৮ জানুয়ারি ২০২২

নিহত গৃহবধূ মানসুরা আক্তার ইতি
নরসিংদীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের সাঠিরপাড়া এলাকার সাত্তার ভিলাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী মসিউর রহমান হিমেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ মানসুরা আক্তার ইতি পাঁচদোনা এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে। একই সঙ্গে সাঠিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাষক মসিউর রহমান হিমেলের স্ত্রী।
আরো পড়ুন: দুই দিন অনশনের পর প্রেমিক যুগলের বিয়ে
নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে সাঠিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক মসিউর রহমানের সঙ্গে পাঁচদোনা এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে মানসুরা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের জান্নাতুল নামে ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। প্রতি শুক্রবার সকালে নিহতের স্বামী হিমেল বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুর গ্রামে তার গ্রামের বাড়িতে যান। দুপুরে দেড়টার দিকে স্ত্রী মানসুরাকে মোবাইলফোনে ফোন দেয় তার স্বামী হিমেল। একাধিকবার ফোন দিলেও স্ত্রী ফোন ধরে না। পরে হিমেল বিষয়টি তার শ্বশুরকে জানায় এবং তার বাড়িতে পাঠায়। সেখানে গিয়ে নিহতের বাবা মেয়ের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
আরো পড়ুন: ভালোবেসে বিয়ে, চার মাসেই শেষ মেঘলার জীবন
পুলিশ এসে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। এদিকে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের ভাই সবুজ বলেন, দুপুর ১টার দিকে বোনকে ফোন দিয়েছিলাম। তখন সে ফোন ধরেনি। ফোন ধরেছে ভাগ্নি। বোনকে দিতে বলার পর ভাগ্নি বলল মা ঘর মুছছে। এখন দেয়া যাবে না। পরে ফোন কেটে দেই। বিকেলে জানতে পারি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কি কারণে এই হত্যাকান্ড তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএডি/এআর