বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের
প্রকাশিত: ১৩:৫০ ১৯ জানুয়ারি ২০২২

ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইমরান হোসেন নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় ফারুক শাহ নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ইমরান হোসেন একই উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, নির্মাণাধীন ভবনটির দ্বিতীয় তলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন ইমরান। একপর্যায়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ইমরান হোসেন নামে ওই নির্মাণ শ্রমিককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে যান বলে জেনেছি।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে করণীয়
দেশের কোথাও না কোথাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। বাড়িঘরের খুব কাছ দিয়ে যাওয়া নাড়িভুঁড়ির মতো পেঁচানো বৈদ্যুতিক তারও এমন অনেক দুর্ঘটনার কারণ। তবে সহজ কিছু বিষয় জানা থাকলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে অগ্নিকাণ্ড এবং দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক একেএম শাকিল নেওয়াজ বলছেন, বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় সর্বপ্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতে হবে। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তি বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে আলাদা হয়ে যাবেন। আর যদি সংযোগ বন্ধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে কোনোভাবেই খালি হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে স্পর্শ করা যাবে না। এক্ষেত্রে পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল পরে, শুকনো কাঠের টুকরো, বাঁশ কিংবা রাবার দিয়ে তৈরি এমন কিছু দিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে আলাদা করতে হবে।
তবে অনেকে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে আলাদা করতে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে জোরে আঘাত করে ফেলেন- যা করা যাবে না। কোনোভাবেই ধাতব কিংবা ভেজা কিছু ব্যবহার করা যাবে না। আর এর কোনোটিই সম্ভব না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমআর