মেঝেতে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা
প্রকাশিত: ১৭:৪৬ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

গৃহবধূর মরদেহ
মাগুরায় সদর উপজেলার রূপাটি গ্রামে সালমা খাতুন নামে এক গহবধূর লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। সালমা সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের প্রবাসী ইয়ানুর হোসেনের মেয়ে।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বলে সালমার বাবার বাড়ির স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
সালমার ফুপু জোসনা বেগম জানান, মাস পাঁচেক আগে রূপাটি গ্রামের আলমগির হোসেনের ছেলে রাজু মুন্সির সঙ্গে সালমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে শ্বশুরবাড়ি রূপাটি গ্রামে বসবাস করছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার সকাল ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে সালমার বাবার বাড়িতে ফোনে জানানো হয় সালমা মারা গেছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু এ সময় ওই বাড়ির কোনো লোকজনকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
সালমার চাচা জাহিদ হাসান বলেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রথমে তাদের জানানো হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। আবার পরক্ষণই জানায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মূলত তারা হত্যা করে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদিন জানান, দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএইচ