আধা ঘণ্টা বাসেই আটকে ছিলেন যাত্রীরা
প্রকাশিত: ১৭:৩৭ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ আপডেট: ১৭:৪৪ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সংঘর্ষের পর যাত্রী ও দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি উদ্ধার করে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস
সিলেটে এনা পরিবহন ও লন্ডন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের পর প্রায় আধা ঘণ্টা বাসের ভেতরেই আটকে ছিলেন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের উদ্ধার করে। এ দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
লন্ডন এক্সপ্রেসের যাত্রী শেখ মো. রাহেল বলেন, আমার সামনের দুইজন যাত্রী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার পর আমরা প্রায় আধা ঘণ্টা বাসের ভেতরে আটকা ছিলাম। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আরেক যাত্রী শেখ লুৎফুর রহমান বলেন, এনা পরিবহনকে ওভারটেক করে লন্ডন এক্সপ্রেস প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিল। ওই মুহূর্তে এনা পরিবহনের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে দুটো বাসের সংঘর্ষ হয়।
আরো কয়েকজন যাত্রীর জানান, লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক শুরু থেকেই বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। এনা পরিবহনকে ওভারটেক করার সময় তিনি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুরের বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুব জোরে কোনো কিছুর ধাক্কা লাগার শব্দ পাই। পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি দুটি বাসের সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর থানায়-ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে আশপাশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যাকে পেরেছি বাসের ভেতর থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেজাউল করিম বলেন, দুর্ঘটনার পর চারজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আর হাসপাতালে আনার পর আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা যান।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত দুটি বাসই আমরা উদ্ধার করে থানায় এনেছি। এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুরে এনা পরিবহন ও লন্ডন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে দুই বাসের চালকসহ আটজন নিহত হন। তারা হলেন- সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র প্রভাষক ডা. আল মাহমুদ সাদ ইমরান খান, এনা পরিবহনের বাসচালক মঞ্জুর আলী, হেলপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সুপারভাইজার সালমান খান, লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক শাহ কামাল, যাত্রী নুরুল আমিন, নাদিম আহমদ সাগর, রহিমা বেগম।
ডেইলি বাংলাদেশ/এআর