চার কেজি চাল চুরি, তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
প্রকাশিত: ১৫:৪৮ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মেহেরপুর
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রান্নাঘর থেকে চার কেজি নোংরা চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে কুক লাইলি খাতুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম।
বুধবার হাসপাতালের আরএমও ডা. হামিদুল ইসলাম প্রধান করে সিনিয়র নার্স রাফিজা খাতুন ও ইপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুর রশিদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হাসপাতালের কুক লাইলি খাতুন বালতিতে করে বাসি ভাতের সঙ্গে কিছু চাল নিয়ে যাওয়ার সময় অফিস সহকারী আসাদুজ্জামান লিটন ধরে ফেলে। পরে ঠিকাদার ইমরান হাবিব তার বিচারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. হামিদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে ঠিকাদার ইমরান হাবিব ও অভিযুক্ত লাইলি খাতুনের বক্তব্য নিয়েছি। আরো কয়েকজনের বক্তব্য নিয়ে শনিবার বা রোববারে প্রতিবেদন দেব।
ঠিকাদার ইমরান হাবিব বলেন, চলতি মাস থেকে আমি ঠিকাদারির দায়িত্ব নিয়েছি। এই ২৬ দিনে লাইলি খাতুন প্রায় ৬০ কেজি চাল চুরি করেছে। এর আগে, আমি দুইদিন তাকে চাল চুরি করতে হাতেনাতে ধরেছি। তখন সে মাফ চেয়েছে। সর্বশেষ হাসপাতালের এক স্টাফ তাকে প্রায় পাঁচ কেজি চালসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
অভিযুক্ত লাইলি খাতুন বলেন, ঠিকাদার প্রতিদিনই খাবারের জিনিসপত্র কম দেয়। আমি বিষয়টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্যারকে জানিয়েছি। এ নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এ কারণেই সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অভিযোগ করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চাল চুরি করিনি। রান্নাঘরের হাড়িতে থাকা ৩-৪ কেজি চালের মধ্যে বিড়াল মলত্যাগ করেছিল। সেই নোংরা চালগুলো আমি বাসি ভাতের সঙ্গে ছাগলের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। ঠিকাদার অভিযোগ করার পর পুরো বিষয়টি খোলাসা করে আমি স্যারের কাছে মাফ চেয়েছি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম জানান, রান্নাঘর থেকে চাল চুরির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এআর