একসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি, নিচ্ছেন বেতনও
প্রকাশিত: ১৭:৪৬ ২৬ জানুয়ারি ২০২১ আপডেট: ১৯:৫৭ ২৬ জানুয়ারি ২০২১

সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুল কাইয়ুম
ময়মনসিংহের নান্দাইলে একসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ও বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে একজন প্রভাষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মো. আব্দুল কাইয়ুম নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে নান্দাইলের সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি করছেন। একই সঙ্গে একই সময় থেকে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান প্রশিকাতে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (পিসি) পদে চাকরি করছেন। দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন আব্দুল কাইয়ুম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মো. আব্দুল কাইয়ূম সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক যোগদান করে জুলাই ২০১৯ থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন। তার এমপিও কোড- ৫৬৭৯২২১২। জুলাই ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত বেতন বাবদ দুই লাখ ১৩ হাজার ৮৭৫ টাকা তুলেছেন তিনি। এখনো প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন।
আরো জানা গেছে, প্রভাষক আব্দুল কাইয়ুম তথ্য গোপন করে একই সঙ্গে ঢাকা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (পিসি) পদে চাকরি করছেন। এখান থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন।
প্রশিকার প্রধান নির্বাহী মো. সিরাজুল ইসলামের সাথে বলেন, মো. আব্দুল কাইয়ূম আমাদের একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে চাকরি করে যাচ্ছেন। তিনি নান্দাইল সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক পদে চাকরি করছেন- বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নান্দাইল সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র সাহা রায় জানান, মো. আব্দুল কাইয়ূম এই কলেজের একজন নিয়মিত প্রভাষক। তিনি তথ্য গোপন করে অন্য কোথাও চাকরি করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, একসঙ্গে দুই জায়গায় চাকরি করা যাবে না তা আমার জানা নেই। আইনি জটিলতা হলে আমি প্রশিকার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
ডেইলি বাংলাদেশ/এআর